Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চবিতে সংঘর্ষে ২০ নেতাকর্মীকে কর্মী আহত

চবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১০:১৯ এএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে শাহ জালাল ও আমানত হলের সামনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে বিশ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল ও আমানত হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকেসহ আর তিন জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) স্থানান্তর করা হয়।এছাড়াও বাকি ১৬ জনকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহতদের মধ্যে ইতিহাস বিভাগের ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মো. তৌহিদুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ সিনহা,একই শিক্ষাবর্ষের রাজনীতি বিজ্ঞান শেখ আহমেদ, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তুষার আহমেদকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মো. ইমরান, একই শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সুবর্ণ ত্রিপুরা, ১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শাখা ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শাওন দাশ গুপ্ত, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর জীবনসহ আরো ১১ জনকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারী পাঁচজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিনিয়র সহ সভাপতি মনছুর আলম। তবে দোষীদের সনাক্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। যদিও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গামী রাত সাড়ে আটটার ট্রেনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী তৌহিদুল ইসলামের সাথে কথা কাটাকাটি হয় সভাপতি পক্ষের এক কর্মীর। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চলন্ত শাটল ট্রেনে তৌহিদুলকে মারধর করে সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছলে সভাপতি পক্ষের অনুসারীরা বেধড়ক মেরে আহত করে তৌহিদকে। এ ঘটরা জানাজানি হলে শাহ জালাল ও আমানত হলের সামনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়।

এদিকে এ ঘটনার জের ধরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হল ও আমানত হলের সামনে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা যায়।

চবি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ড. শুভাশিস চৌধুরী শুভ জানান,‘চার জনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে তৌহিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ।’

সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন,‘সিনিয়র জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি থেকেই এ ঘটনা ঘটে। আলোচনার মাধ্যমে আমরা বিষয়টি সমাধান করেছি।’
সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক বায়েজিদ আহমেদ সজল বলেন, ‘ছাত্রলীগের কিছু অতি উৎসাহী কর্মীর উচ্ছৃঙ্খলতায় মারামারি সূত্রপাত। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোকাদ্দেস মিয়া বলেন,‘সিনিয়র জুনিয়রদের ভুল বুঝাবুঝি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। পুলিশ প্রশাসনের অবস্থানে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র জানান, ‘ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের পর বর্তমান পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয় পক্ষের ছাত্ররা হলে ফিরে গেছে’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ