Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাল্লার হাওরে হচ্ছে নান্দনিক সড়ক

আমির হোসাইন, শাল্লা (সুনামগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সুনামগঞ্জের শাল্লায় হাওরের বুক ছিঁড়ে হচ্ছে নান্দনিক সড়ক। চারদিকে পানি আর পানি। দূর থেকে মনে হয় ছোট ছোট দ্বীপের মতো একেকটা গ্রাম। যেদিকে চোখ যাবে স্বচ্ছ জলরাশির বিশাল ভান্ডার। তীব্র কিংবা মৃদু বাতাসে ছোট বড় ঢেউয়ের মহামিলন। এই বিশাল জলরাশির মধ্য গাড়িতে চড়া রোমাঞ্চকর। মুক্ত বাতাস, বর্ষায় ঢেউয়ের কল কল শব্দ, শুনশান নিরবতা উচ্চগতিতে চলবে গাড়ি। এ যেন বইয়ের পাতায় লিখা কাল্পনিক গল্প। এটা কোনো কল্পকাহিনী নয়। হাওরবাসীর এমন অবিশ্বাস্য স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে দ্রুততম সময়ে, কাজ চলছে শাল্লা হতে জলসুখা সড়কের কাজ।
ইতোমধ্যে মাটি ভরাটের কাজ দৃশ্যমান হয়ে গেছে কয়েকটি জায়গায়। শাল্লা উপজেলার কান্দিগাঁও থেকে ভাটগাঁও পর্যন্ত বিশাল হাওরের বুকে মাটি ভরাটের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে এই সড়কটি। বর্ষাতেও থেমে নেই নির্মাণ কাজ। শাল্লা-জলসুখা সড়কের জন্য কুশিয়ারা নদীর ওপরে নির্মিত হচ্ছে সিলেট বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর কাজ চলমান। মূল সেতু ছাড়াও ৩টি সেতু ও ২৩টি কালভার্ট স্থাপনের জন্যে ভরা বর্ষায় চলছে পুরোদমে কাজ। সেতুর পাইলিং কাজ শেষ করে উপরের কাজ করছে শ্রমিকেরা।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের আদলেই এই সড়কটি নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এতে ব্যয় হবে ৭৬৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
স্থানীয় আবুল হাসান জানান, শাল্লা-জলসুখা সড়কের ভাটগাঁও এলাকায় একটি সেতু এবং কান্দিগাঁও এলাকায় আরেকটি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মুসা এন্টারপ্রাইজের (সাব কন্ট্রাক্টর) প্রতিনিধি মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কান্দিগাঁও থেকে ভাটগাঁও পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ প্রায় শেষ।
সুনামগঞ্জ-দিরাই-শাল্লা-আজমিরীগঞ্জ-হবিগঞ্জ মহাসড়ক বাস্তবায়নের জন্যে নির্মাণ করা হচ্ছে শাল্লা-জলসুখা সড়ক। হাওরের মাঝ দিয়ে ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলা সদরের ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার থেকে ভাটগাঁও-কান্দিগাঁও হয়ে হাওরের মধ্য দিয়েই জলসুখা পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে সড়কটি।
এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জ সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, বর্ষায়ও প্রকল্পের কাজ চলছে। তবে পানির জন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, নিচের কাজ করা যাচ্ছে না। পানি কমে গেলেই প্রকল্প বাস্তবায়নে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ