বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়েছেন এক আওয়ামীলীগ নেতার স্ত্রী। সেই নেতা এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছেন পালিয়ে যাওয়ার আটপৌর কাহিনী। তিনি হলেন জুড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ। তার স্ত্রীর নাম শিরিন আক্তার।
গত শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে জুড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবে ‘নিজের স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পলায়ন, বাসা থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ও মামলা দায়ের এবং প্রচারণার’ অভিযোগ তুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত ২০০২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কুলাউড়া উপজেলার আমতৈল গ্রামের মোবারক আলীর কন্যা শিরিন আক্তার এর সাথে দ্বিতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হই আমি। আমাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাহার পিতার আর্থিক অবস্থা নাজুক হওয়াতে বিবাহের পর হইতে অদ্যাবধি আমি তাদের পরিবারের ভরন-পোষণ চালিয়ে যাই। তার ভাই-বোন সকলের লেখাপড়ার খরচ ও বোনদের বিবাহে অনেক টাকা খরচ করে থাকি। এক ভাই বিদেশ যাবার সময় নগদ টাকা দিয়ে সাহায্য করি। আরেক ভাইকে আমার নিজ এলাকায় ফুলতলা চা বাগানে চা ঘর বাবু পদে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেই। তার পিত্রালয়ে আমার টাকা দিয়ে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেই এবং তাদের বাড়ীর পাশেই তার আপন চাচার নিকট হইতে ৫ শতক জমি ক্রয় করে দেই। যা এখনও দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয় নাই। এছাড়া তাকে বিয়ের পর হইতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডিজাইনের স্বর্ণালংকার কিনে দেই। কিন্তু আমার স্ত্রী শিরিন আক্তার ও তার পরিবার পরধন লোভী। সে আমার অজান্তে স্বর্ণালংকার বিক্রি করে টাকা লুট করে নেয়।’
নিজের স্ত্রী পরপুরুষের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন- ‘বিগত দিনে তাকে কয়েকবার পরকীয়ার সাথে জড়িত থাকাবস্থায় হাতেনাতে পাওয়া যায়। তখন ক্ষমা চাওয়ায় সতর্ক করে তাকে ক্ষমা করে দেই। কিন্তু দিনে দিনে আমার চোখ ফাকি দিয়ে সে একজন চরিত্রহীন মহিলায় পরিণত হয় এবং অসামাজিক কাজে জড়িত হয়। গত ছয় মাস পূর্বে আবারও পরকীয়ায় ধরা পড়লে সিনেমা, নাটকের মত অভিনয় শুরু করে। আমার নিকট তার জবাবের পথ না থাকায় সে আমার বাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। আমি একজন সম্মানিত জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক। আমি তার ভয়ে মান-সম্মান ও প্রাণ রক্ষার্থে জুড়ী উপজেলা শহরের বাসা থেকে ফুলতলায় আমার পৈতৃক বাড়ীতে চলে যাই। এমতাবস্থায় সে আমার বাসায় থাকা টাকা, স্বর্ণালংকার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ব্যবসায়িক লেনদেনের আমার স্বাক্ষরিত সাদা স্ট্যাম্প নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম যে, পর পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে অবস্থান করছে সিলেটে।’
তিনি আরও বলেন- ‘গত ২৪ জানুয়ারি ২০২২ইং সে আমাকে তালাক প্রদান করে। এর ৫ মাস পর ২৯ জুন মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে একটি মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করে। মামলায় উল্লেখ করে আমি নাকি ২০ লক্ষ টাকা দাবী করেছি। মামলা দায়েরের পর আমি আদালতে আত্মসমর্পণ করিলে আদালত জামিন প্রদান করেন আমাকে। মাননীয় আদালত সর্বোপরী আমার অবস্থান বিবেচনা করে আইনজীবীদের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মৌখিক ভাবে আহ্বান করিলে সে তাদের কথায় কোন কর্ণপাত করছে না।
তিনি বলেন- ‘আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধির সুনাম ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে তালাক প্রদানের ৫ মাস পর মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করা হয়। একজন রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধির প্রতিপক্ষ থাকাটা স্বাভাবিক। একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে সে মিথ্যা মামলা ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।