Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত, ১৮ রাউন্ড বুলেট নিক্ষেপ

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৫৪ পিএম

অটোরিক্সার ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে দু পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। পুলিশ ১৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামে।


স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ছিলিমপুর গ্রামের দুলাল মেম্বারের সাথে রবিবার দুপুরে অটোরিক্সার ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে ফয়সাল গংদের প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়। সংঘর্ষে আহতদেরকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত রাতুল খান (২২), খলিলুর রহমান খান (৩০), সাকিব (২২), রাব্বী (১৮), তরিকুলকে (২২) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।

এছাড়াও শাহিদুল খান (১৮), নজরুল (৪৫), কাইয়ুম (৩৫), হাদিস (৪৫), আলাল উদ্দিন (৩৫), আতিক (৩০), ওয়াসীম (৩০), মেনা মিয়া (৩৫), আমিনুল (২৫), আশরাফুল (১০), আয়াত মিয়া (৭০), এমদাদুল (২২), আঃ হাকিম (৩০), সুজন (৩০), আতিকুর (২৩), সায়মন (২১), সাতু মিয়া (৫০), মাজু মিয়া (৩২), ফয়সাল (২৫), রাজিব (৩২), মিন্টু (৩৬), আবুল হাসেম (৫০), জসিম উদ্দিন (৫৫), আশরাফুল (২৬), কামরুল (৫৫), তামিম (২০), সাকিব (১৮), বায়েজিদ (৫৫), আবুল কাশেম (৪৭), হৃদয় (১৮) হাইজুলকে (৩৫) কেন্দুয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে । পূনরায় হামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে বেশ কিছু রোগীকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একটি সুত্র জানায়, এদের মধ্যে কামরুলসহ ৫ জনকে তারাইল হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে ।

সংঘর্ষের পর প্রতিপক্ষের লোকজন ইব্রাহিমের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময়ে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আলী হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দুই পক্ষের সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ