Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৌলভীবাজারে অন্যকে ফাঁসাতে মেয়েকে খুন করলো পাষন্ড বাবা!

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২২, ৭:২৫ পিএম

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকা থেকে পপি সরকার (১১) নামের এক শিশুর গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন রাতে হত্যাকান্ডের বিষয়ে থানায় পপির বাবা দিগিন্দ নম বাদী হয়ে সুরমান আলীসহ আরও তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন থানায়। পরে ওইদিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুরমান আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পরদিন বুধবার সকালে সুরমানকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তবে ৫ দিনের মাথায় পাল্টে গেছে হত্যাকান্ডের মোড়। আজ রবিবার (২ অক্টোবর) সকালে পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, পপিকে তার বাবাই হত্যা করেছেন। এ বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন পপির বাবা।

সংবাদ সম্মেলনে কুলাউড়া থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক জানান, পপির বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান ঘটনার দিন রাতে পপি বিছানা থেকে পড়ে গেছে- এমন শব্দ পেয়ে তার ঘুম ভেঙে যায়। পরে ঘুম থেকে উঠে তিনি তার মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে রেখে দেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে পপির বাবা দিগিন্দ বাড়ির মালিক কামাল মাস্টার, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকার লোকজনদের বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। ওসি আরও জানান, নিজের মেয়েকে হত্যার পর প্রতিবেশী সুরমান মিয়াসহ কয়েকজনকে ফাঁসানোর জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে দিগিন্দ তার মেয়ে পপি সরকারকে হত্যা করে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় দিগিন্দ বিস্কিট খাওয়ানোর প্রলোভনের অভিযোগ এনে প্রতিপক্ষে ফাঁসাতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশি তদন্তে বাড়ির পাশের দোকান থেকে বিস্কিট কেনার প্রমাণ পাওয়া যায়। শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় পপির বাবা আদালতে হত্যাকান্ডর স্বীকারোক্তি দিলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। প্রতিবেশী সুরমান মিয়ার প্রতি দিগিন্দের কেনো একটি কারণে ক্ষোভ ছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুনুর রশীদ। উল্লেখ্য, দিগিন্দ নম হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পাঞ্জারাই এলাকার বাসিন্দা। সুলতানপুর এলাকায় মৃত আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ