প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
মিয়ানমারে এক নারী মডেলকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকারের একটি আদালত। ‘অনলিফ্যানস’ নামে একটি অ্যাডাল্ট সাইটে ছবি প্রকাশ করায় তাকে এই সাজা দিয়েছেন আদালত।
এ প্রসঙ্গে বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, সামরিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ন্যাং মওয়ে সানকে দুই সপ্তাহ আগে ‘সংস্কৃতি এবং মর্যাদাহানি করার জন্য’ অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি এর আগে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভেও অংশ নিয়েছিলেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অর্থের বিনিময়ে সামাজিক মাধ্যমের সাইটে নিজের নগ্ন ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করার দায়ে সানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মিয়ানমারের ইলেকট্রনিকস ট্রানজেকশন আইনের ৩৩ (এ) ধারার অধীনে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এ আইনে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। ‘অনলিফ্যানস’ কনটেন্টের জন্য এই মডেলই প্রথম, যাকে মিয়ানমার কারাদণ্ড দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, পেশায় মডেল ন্যাং চিকিৎসা পেশায় ডিগ্রিধারী। ২০২১ সালে অং সান সু চির দলকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন তিনি। তাকে বিক্ষোভেও অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল। ইয়াঙ্গুনের উত্তর দাগন এলাকায় ন্যাংয়ের বাড়ি। সেখানে সামরিক আইন বলবৎ রয়েছে।
এর আগে গত অগাস্টে ন্যাং ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে ছবি দিয়ে আরও একজন মডেল গ্রেপ্তার হন। থিনজার উইন্ত কিয়াও নামে সেই মডেল অক্টোবরে বিচারের মুখোমুখি হবেন।
এই বছরের শুরু থেকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার জরুরি আইনের অধীনে এই সব এলাকার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সামরিক আদালত বিচার করে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আইনজীবী পাওয়া থেকে সব ধরনের আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।