Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চিলমারীতে আমন মৌসুমে সারের সঙ্কট

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে চলতি আমন মৌসুমে সব ধরনের সারের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বস্তা সার কিনতে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। ভরা মৌসুমে সারের এই সঙ্কটে দিশেহারা হয়ে পড়ছে কৃষক। কৃষি বিভাগের দাবি, সারের কোন সঙ্কট নেই সারের দাম বেশি নিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় মোট ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হলেও আবহাওয়া ভাল থাকায় আমন ধান রোপন করা হয়েছে ৮ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। আমন চাষের জন্য উপজেলার মোট চাহিদা ৬৭০ মে. টন সারের পুরোটাই পাওয়া গেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে।
চলতি আমন মৌসুমে চারা রোপণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ধান ক্ষেতের পরিচর্যা। চারা রোপনের ১৫-২০ দিনের মধ্যে জমিতে সার দেয়ার প্রয়োজন হলেও বর্তমানে সার সঙ্কটের কারনে জমিতে সার দিতে পারছেন না কৃষকরা। ভরা মৌসুমে এই সার সঙ্কটে দিশেহারা হয়ে পড়ছে এলাকার কৃষকরা। সৃষ্ট সঙ্কটের কারনে খোলা বাজারে সব ধরনের সার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৭৫০ টাকার এমওপি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০-৪০০ টাকায়, টিএসপি ১হাজার ১০০ টাকার জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০-৫০০ টাকায়, ৮০০ টাকার ডিএপি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে সাড়ে ৯০০ টাকায়, আর ১ হাজার ১০০ টাকার ইউরিয়া বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৬০০ টাকায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে চড়া মূল্যে সার এনে বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান। এদিকে সারের সঙ্কট ও দাম বৃদ্ধির অভিযোগ অস্বীকার করছেন অনুমোদিত সারের ডিলার ও কৃষি বিভাগ।
উপজেলার শরিফেরহাট খন্দকার পাড়া এলাকার কৃষক সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, তিনি সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপন করেছেন, অনেক কষ্টে ২ বস্তা ইউরিয়া জোগাড় করতে পারলেও আর কোন সার পাচ্ছেন না তিনি। পাত্রখাতা সুইচগেইট এলাকার ঢেপু আহমেদ ও নবাব আলী জানান, ১০-১২ দিন পূর্বে তারা জমিতে আমন ধান রোপন করেছেন। বৃষ্টিপাত না থাকায় জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে তাদের। আবার সামনে তাদের জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে, সারের সঙ্কট দেখে হতাশায় ভূগছেন তারা।
উপজেলার থানাহাট বাজারের আলম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জানান, কুড়িগ্রামে কৃষকদের নিকট থেকে ১২-১৩’শ টাকা বস্তা কিনে পরিবহনসহ বিভিন্ন খরচ দিয়ে ১৪-১৫’শ টাকা বস্তা বিক্রি করছেন তিনি। সেখানে ডিলারের নিকট থেকে কৃষকরা ন্যায্য মূল্যে সার নিয়ে বাহিরে বিক্রি করেন বলে জানান তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, চলতি আমন মৌসুমে লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ৬৭০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের চাহিদা দিয়ে শতভাগ সার পাওয়া গিয়েছে। কিছু মানুষ রবি শস্যের জন্য অগ্রিম সার কিনে জমা করায় সাময়িক সঙ্কট সৃষ্টি হলেও আগামী মাসে আর কোন সারের সঙ্কট থাকবে না। কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে সার বিতরণের জন্য আমরা সার্বক্ষনিক মাঠে কাজ করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ