Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

জেলেদের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা

আমানত উল্যাহ, রামগতি (ল²ীপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ল²ীপুরে মেঘনায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ। এতে জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। সরগরম হয়ে উঠেছে মেঘনা উপক‚লের সবগুলো মাছের আড়ৎ। শেষ মুহ‚র্তে এসে ইলিশ ধরা পড়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে জেলেরা। চলতি মাসে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আসবে, তাই তারা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে। তবুও আগের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন জেলেরা।
বর্তমানে ইলিশের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে। ইলিশের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে স্বাচ্ছন্দ্য। মৎস্য বিভাগ বলছেন, বৈরি আবহাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে ইলিশের আমদানি বৃদ্ধির পাশাপাশি দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। রামগতি উপজেলায় পাইকারি মাছঘাটগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে সাড়ে ৪৫ টন ইলিশ আমদানি হচ্ছে।
এখন ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে, ১ কেজি থেকে ১৪শ’ গ্রামের ইলিশ ১৩০০ টাকা, আর দেড় কেজি থেকে ২ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-২০০০ টাকা কেজি দরে। শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর ক’দিনপর মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম শুরু হলে মেঘনায় ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে সমুদ্র ও উপক‚লীয় অঞ্চল মেঘনায় জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে করে উপজেলার মাছ ঘাটে বেড়েছে ইলিশের আমদানি, সেই সাথে দামও ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে রয়েছে। উপজেলার আলেকজান্ডার, বিবিরহাট, রামগতি বাজার, টাংকিরঘাট, লুধুয়াঘাট, সাহেবেরহাট, মাতাব্বরহাট ঘাট, নবীগঞ্জ ও মতিরহাট মাছঘাটসহ বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, নদীতে শত শত নৌকা ও ট্রলার নিয়ে জেলেরা নেমে পড়েছে ইলিশ শিকারে। কারও যেন বসে থাকার সময় নেই। কেউ আবার জাল বুনছেন নৌকাতে বসে। ঘাটগুলোতে পাইকার আড়ৎদার ও জেলেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ ইলিশ কেনা-বেচা করছেন, কেউ বরফ দিচ্ছেন, কেউ বা ব্যস্ত মাছ প্যাকেট করা নিয়ে। মৎস্যজীবীদের হাঁক-ডাকে মুখরিত আড়ৎগুলো।
দীর্ঘদিন পর সরগরম হয়ে উঠেছে আড়ৎগুলো। উপজেলার ছোট-বড় সবগুলো হাটবাজারে রূপালি ইলিশের দেখা মিলছে। স্থানীয় জেলে নুর মোহাম্মদ ও ছেরু ব্যাপারী জানান, অনেক দিন পর নদীতে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে তারা বেশ খুশি। এখন আবার নিষেধাজ্ঞার সময় হওয়ায় হতাশাও রয়েছে তাদের।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নিম্নচাপের প্রভাব, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সমুদ্র উপক‚লীয় অঞ্চল ও মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে ল²ীপুর ও রামগতি উপজেলায় পাইকারি বাজারগুলোতে ইলিশের আমদানি বেড়েছে, সেই সাথে দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ