রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ধানখেতে কীটনাশকের ব্যাবহারের পরিবর্তে আলোক ফাঁদ পেতে ক্ষতিকর পোকা দমন করা হচ্ছে। আমন ধানের সুরক্ষায় আলোক ফাঁদ ব্যবহারে দৃষ্টি পড়েছে এ প্রযুক্তি উপর। রাঙ্গুনিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহায়তায় কৃষকেরা আলোক ফাঁদ স্থাপন করেছেন। এতে পোকা দমনসহ ধানখেতে ক্ষতিকর কী ধরনের পোকা রয়েছে, তা শনাক্ত করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তা দমন করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। উপজেলার তৃণমূলসহ পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বøকে এই আলোক ফাঁদ বসানোর মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা সনাক্তকরণ করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারীগণ জানান, ফাঁদ তৈরি করতে সন্ধ্যার পর ধান ক্ষেত থেকে পঞ্চাশ-একশ’ মিটার দূরে ফাঁকা জায়গায় বাঁশের তিনটি খুঁটি ত্রিকোণাকার করে মাটিতে পুঁতে মাথার অংশ একত্রে বেঁধে দিতে হবে। এরপর মাটি থেকে আড়াই থেকে তিন ফুট উপরে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে খুঁটির মাথার রশির সাহায্য ঝুলিয়ে দিতে হয়। নিচে একটি বড় আকারের প্লাস্টিকের গামলা বা পাত্রে ডিটারজেন্ট পাউডার অথবা কেরোসিন মিশ্রিত পানি রাখাতে হবে। মাঠজুড়ে যখন অন্ধকার নেমে আসতে থাকে তখন ফাঁদের আলোর ঝলকে আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় পাত্রের পানিতে পড়ে মারা যায়। লালানগর ইউনিয়নের কৃষক জহির উদ্দীন জানান, আলোক ফাঁদ অন্ধকার রাতে দেখতে দৃষ্টি নন্দনও বটে। এতে খরচ কম হয় এবং পরিবেশ বান্ধব। তাই ধান ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি শনাক্তকরণ ও দমনে আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি আমাদের এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে। এতে সহযোগিতা করছেন দায়িত্বরত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ। আলোক ফাঁদে উপকারী পোকার মধ্যে ড্যামসেল ফ্লাই, বোলতা, মাকড়সা, ক্যারাবিড বিটল, লেডিবিটল এবং ক্ষতিকর পোকার মধ্যে মাজরা পোকা, সবুজ পাতা ফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা ও বাদামি গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা), সাদা পিঠ গাছ ফড়িং ও গান্ধি পোকার উপস্থিতি বেশি দেখা যায় বলে জানান এলাকার একাধিক কৃষক।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ক্ষতিকর পোকামাকড় বিশেষ করে বিপিএইচ বা কারেন্ট পোকা যাতে রোপা আমন ধানের ক্ষতি করতে না পারে এবং কৃষকরা সঠিক সময়ে যেন পোকা দমনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সেজন্যই একযোগে আলোক ফাঁদ স্থাপনের জন্য এ কার্যক্রমের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এই আলোক ফাঁদ গ্রামের কৃষকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। এতে কৃষকেরাও খুশি, খরচও কমিয়েছে কৃষকদের। এই ফাঁদের ব্যবহার আরো বেশি আকারে হওয়া দরকার। এ জন্য এলাকার কৃষকদের মাঝে মনোযোগী হতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।