Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গড়াই নদীর ভাঙনে স্কুল-মসজিদ

স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০২ এএম

পদ্মার প্রধান শাখা গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমার সাথে সাথে প্রতি বছর অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কুমারখালি উপজেলায় কয়েকটি গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার। শেষ আশ্রয়টুকু হারানো সর্বশান্ত পরিবারগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করছেন, আবার অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের বাড়ি।

গত দেড় মাস থেকে পানি কমার সাথে সাথে গড়াই নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী ভাঙনে কুমারখালি উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের রেল ও সড়ক সেতুর ভাটি এলাকার কাশিমপুর, বড়ুরিয়া, হাবাসপুর, এলঙ্গীপাড়া, সদকী ইউনিয়নের চরআগ্রাকুন্ডা, পাথরবাড়িয়াসহ বেশকিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
কাশিমপুর গ্রামের নয়ন মোল্লা বলেন, গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমার সাথে সাথে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে বাগানসহ বেশকিছু বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে শতাধিক ঘর-বাড়ি। নদীর ভাঙন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এদিকে এলঙ্গি গ্রাম রক্ষা বাঁধে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধসে যাচ্ছে বøক। বাড়ছে আতংক।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাচীনকালের কুমারখালি-কাশিমপুর সড়ক অনেক আগেই গড়াই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি ভাঙন রোধ কল্পে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণে দাবি জানান।
নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানো চর আগ্রাকুন্ডা গ্রামের চাঁদ আলী বলেন, গত কয়েক বছরের ভাঙনে তার সব কিছুই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিজের ভিটেমাটি হারিয়ে সরকারি জায়গায় মাথা গোজার একটু যে আশ্রয়টুকু ছিল এবারের ভাঙনে সেটাও চলে গেল।

একই এলাকার রেবেকা বলেন, নদী ভাঙনে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি, ছেলে মেয়ে নিয়ে নিঘুম রাত কাটাছে তার। সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকেন তিনি, কখন যেন তার শেষ আশ্রয়টুকু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় এ আশংকা সব সময়।

এ ব্যাপারে কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন বলেন, নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ভাঙন রোধে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, কাশিমপুর মসজিদ, এলঙ্গি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাবাসপুর এলাকার কাফির মোল্লা, কাশেম মাঝি, তক্কেল হোসেনের বাড়ি চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় গড়াই গর্ভে বিলীন হতে পারে তাদের শেষ আশ্রয়টুকু।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ ভাঙনের ব্যাপারে জানান, বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছে। এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ