রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে নারী যাত্রীকে লাঞ্ছনার ঘটনায় বুকিং সহকারী জাহেদুল ইসলাম রনিকে বদলি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী অঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক অফিস থেকে পাঠানো বার্তায় এ নির্দেশ প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে এ অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার টুটুল চন্দ্র সরকার। রেলওয়ে সূত্র জানা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে গত বুধবার রাতে একটি কক্ষে আটকে রেখে এক নারী যাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার টুটুল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘নারী যাত্রীকে লাঞ্ছিতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুকিং সহকারী জাহেদুল ইসলাম রনিকে বদলি করা হয়েছে। ওই নোটিশে শুক্রবারের মধ্যে বুকিং জাহেদুল ইসলামকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর স্টেশনে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি শফিউল ইসলাম জানান, গত বুধবার রাতে বুকিং সহকারী জাহেদুল ইসলাম রনির বিরুদ্ধে রাবেয়া আকতার মুন (৩০) নামে একজন নারী স্টেশনে তাঁকে লাঞ্ছনার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগে রেলওয়ের আরও কয়েকজন অজ্ঞাত কর্মচারীর কথা উল্লেখ করা রয়েছে। ওসি আরও বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে গা ঢাকা দেওয়ায় শহরের গেøাবাল কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মালিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে লাঞ্ছনার শিকার হন সৈয়দপুর শহরের এক নারী। তিনি ঢাকায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি ১ অক্টোবর ঢাকাগামী আন্তনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য স্টেশনে যান। কিন্তু কাউন্টারের বুকিং সহকারী ওই তারিখের কোনো টিকিট নেই বলে জানিয়ে দেন। তবে তিনি ওই নারী যাত্রীকে কালোবাজারে টিকিট পেতে সৈয়দপুর প্লাজার গেøাবাল কম্পিউটারের দোকানে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে ছয়টি টিকিটের মূল্য হিসেবে গেøাবাল কম্পিউটারের মালিক মনোয়ার হোসেন ওই নারীযাত্রীর কাছে থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে একটি সিøপ দিয়ে আবার স্টেশনের বুকিং সহকারীর কাছে পাঠান বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভুক্তভোগী ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত দামে টিকিট কেনার বিষয়ে কথা তোলায় সহকারীর সমর্থনকারী কিছু লোক তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আরও দুজন রেল কর্মচারীর সহযোগিতায় ওই নারীকে টেনে-হিঁচড়ে বুকিং সহকারীর কক্ষে আটকে রাখা হয়। এ সময় রেল কর্মচারীসহ চারজন তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। দেয়ালের সঙ্গে মাথা চেপে ধরে চড়-থাপ্পড় মারেন তাঁকে। এক পর্যায়ে টিকিট, তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ট্রেনের টিকিট কেড়ে নেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।