Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভালুকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনেক ঘরই জনশূন্য

কামরুল হাসান পাঠান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) থেকে | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০২ এএম

ময়মনসিংহের ভালুকায় মুজিববর্ষে গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার উপজেলার ১১ ইউনিয়নে তিনধাপে গড়ে তুলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩২৪টি ঘরের মাঝে অনেক ঘরই ফাঁকা পড়ে আছে। কোন কোন ঘরের মেঝের প্লাস্টার উঠে গেছে, আবার বেশ কিছু ঘরের মেঝেসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়ায় আতঙ্কে বাসিন্দাগণ।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে এলাকাবাসি ও সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা অনেকেই ঘর পেয়ে খুশি। তবে তাদের বহু সমস্যার মোকাবিলা করে বসবাস করতে হচ্ছে। ঘরগুলোর অধিকাংশেরই মেঝের প্লাস্টার ওঠে ও ফেটে গিয়ে ধুলোবালির মাঝে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কোন কোন স্থানে টয়লেট ও দরজার পাশে, দেয়ালের কোন কোন অংশ এমনকি বারান্দার পিলারগুলো ফেটে গেছে।

উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের বাগেরপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা গেছে, ৩০টি ঘরের মাঝে ১৮টি পরিবার প্রথম থেকেই অনুপস্থিত। এক ঘরের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন প্রমাণিক জানান, তিনি বগুরা জেলার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগি ইউনিয়নের মামুরসই গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। পাশে মোহনা গ্রামে তিনি বিয়ে করেছেন। স্ত্রী বানু খাতুনের নামে ঘর বরাদ্দ।

উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নে দুটি ভেনুতে ঘর রয়েছে ৪১টি। তার মাঝে কড়ইতলীতে ঘর মালিক হিরন ও মোফাজ্জল প্রথম থেকেই অনুপস্থিত, তাদের স্থলে অবৈধভাবে কিছুদিন ধরে অবস্থান করছেন, রহিমা ও জুবেদ আলী। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ বাচ্চুর গাড়ি চালক আউলাতলী গ্রামের মোশারফ হোসেনের নামে একটি ঘর রয়েছে।

মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের ভায়াবহ ও মল্লিকবাড়ি দু’টি ভেনুতে ঘর রয়েছে ৫১টি। সুবিধাভোগীরা জানান, অনুপস্থিত আছে ইউএনও’র কাজের মহিলা, তবে তার নাম কেউ বলতে পারেনি, তিনি শুরু থেকে অনুপস্থিত। উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়ায় অনুপস্থিত বুলু মিয়া, তোফাজ্জল, কামাল হোসেন, নিতাই, আন্না খাতুন। তাদের মাঝে আলাউদ্দিন একটি ঘরে থাকলেও তার আরো দুই ছেলে বুলু মিয়া ও তোফাজ্জল অনুপস্থিত রয়েছেন।

ভালুকা সদর ইউনিয়নের নিশাইগঞ্জ গ্রামে ঘর রয়েছে ৭টি, তার মাঝে অনুপস্থিত একটি ঘরের মালিক ভালুকা পৌরসদরের মাছ ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মালি বাবুল ও শাহজাহানও অনুপস্থিত রয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাদশা জানান, তার ইউনিয়নে অনুপস্থিত ঘরগুলোর মাঝে ৫ জনকে নতুন করে উঠানো হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে সুবিধাভোগীদের অনুপস্থিতিসহ নানা ধরেণের ত্রæটি বিচ্ছুতির খবর আমিও শুনেছি। প্রকল্পটি আমাদের সাথে সমন্বয়য় না করেই করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সরাসরি ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারের (ভ‚মি) মাধ্যমে সার্বিক কাজ করেছেন। ফলে দায়ভারও তাদের উপরই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো: আবেদুর রহমান জানান, যে সকল ঘরে উপকারভোগীরা থাকছেন না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুন লোক দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ