Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীপুরে ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন সাব চ্যাম্পিয়ন দুই নারী ফুটবলার

মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:০৫ পিএম

মাগুরাতে আসবে নারী সাব চ্যাম্পিয়ন দলে থাকা মাগুরা দুই নারী ফুটবলার সাথি বিশ্বাস ও ইতি রানী মন্ডল। তাদেরকে বরণ করে নিতে শ্রীপুর উপজেলার ওয়াপদা বাজারে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারী শিক্ষিকা আরিফা সুলতানার নেতৃত্বে একটি দল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাফুফের গাড়ি বাজারে পৌঁছানো মাত্রই তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এই দলটি। ফুলের মালা পরিয়ে দেন গর্বিত মাগুরার এই দুই নারী ফুটবলারকে। এ সময় রাস্তার দুই পাশে থাকা স্থানীয় জনগণ তাদেরকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখান থেকে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেখানে স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও গ্রামবাসী তাদেরকে বাদ্যের তালে তালে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। গ্রামবাসীর মধ্যে করেন মিষ্টি বিতরণ। গ্রামবাসীর এই ভালোবাসায় সিক্ত ফুটবলার।

গ্রামবাসীর এই ভালোবাসায় সিক্ত দুই নারী ফুটবলার সাথি বিশ্বাস ও ইতি রানী মণ্ডল বলেন। আজকের এই পর্যন্ত পৌঁছানোর মূল কৃতিত্ব স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রভাস রঞ্জন দেবজ্যোতি ও সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম স্যারের । গ্রামবাসী তাদেরকে যে ভালোবাসা দিয়েছে এ ভালোবাসা নিয়ে আমরা আরো সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

সংবর্ধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, আজ নারী ফুটবলাররা যে এত বড় একটি অর্জন বয়ে এনেছে তার জন্য আমরা দেশবাসী অনেক খুশি। এই দলে থাকা দুই নারী ফুটবলার আমাদের এলাকার জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন। তাদের জন্য শুভকামনা রইলো।

গ্রামবাসী এই ভালোবাসায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেয়েদের এই সাফল্যের জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষককে অভিনন্দন জানালেন সাথী ও ইতি বাবা।

এদিকে আজ চাকরি জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন উল্লেখ করেন গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নারী ফুটবলারদের কোচ প্রভাস রঞ্জন দেবজ্যোতি ও সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। আমাদের শুরু মূলত বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে। এখন পর্যন্ত এই স্কুল থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি এই বিদ্যালয় থেকে ১৪ জন মেয়ে বিকেএসপিতে সুযোগ পেয়েছে। তার মধ্যে ৮ জনসহ মোট ১০টি মেয়ে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে খেলছেন।

তারা বলেন, আমরা আশা করি একদিন জাতীয় দলের বেশিরভাগ ফুটবলার থাকবে আমাদের এই স্কুল থেকে। এ সময় তারা এলাকারবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এলাকাবাসী যেভাবে আমাদের পাশে থেকেছেন ভবিষ্যতেও যেন পাশে থাকেন। এ সময় সরকারের কাছে বড় একটি খেলার মাঠ দাবী করেন তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ