পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনো সময় আছে উল্টো-পাল্টা কথা না বলে আপনারা শান্তিতে পদত্যাগ করুন। সেইভ এক্সজিট নেন এবং একটা নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, সংসদ বিলুপ্ত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নামনে ছাত্রদল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এই সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। তাদের অনেকের হাতে জাতীয় পতাকা দেখা গেলেও কোনো লাঠি তাদের হাতে দেখা যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দলের আহত নেতারাও মঞ্চে এসে নেতা-কর্মীদের সালাম দিয়ে চলে যান।
বিএনপি হাটুভাঙা বলে লাঠির ওপর ভর করেছে-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি হাটুভাঙা নয়, আন্দোলনে জনসম্পৃক্তা দেখে আওয়ামী লীগেরই কোমড় ভেঙে গেছে। আমাদের যে হাটুভাঙেনি-এটা তো টের পাচ্ছেন। লাঠিও আমরা নেইনি। তো আপনাদের ইতোমধ্যে কোমড় ভেঙে গেছে। আপনারা শুধু লাঠি নয়, আপনারা ইতোমধ্যে রাম দা-তলোয়ার এবং পুলিশের বন্দুকের ওপরে আপনারা এখন হাটছেন। আপনারা জনগণের সঙ্গে নেই, সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। সেজন্য আজকে আপনাদেরকে সেই রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই একটা সন্ত্রাসী দল। তাদের জন্ম হয়েছে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। সেজন্য একদিকে তারা বলে যে, আমার সোনার ছেলেদের হাতে আমি কলম তুলে দিয়েছি। আর অন্যদিকে তারা সোনার ছেলেদের হাতে বন্দুক-পিস্তল-লাঠি-সোঠা সব কিছু দিয়ে দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ২২ আগস্ট থেকে জনগণের দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলনে যখন মানুষ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহবানে জেগে উঠেছে, তখন তারা একে দমন করার জন্য সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। তারা ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে, তারা খুন করে, তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে ২৫ হাজারের উপরে নেতা-কর্মীদের আসামী বানিয়েছে, ৩ হাজারের মতো তারা আমাদের ছেলেদের আহত করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। কেনো? তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে, শান্তিপূর্ণ মিছিলে, ছাত্রদলের একেবারে একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তারা লাঠি, বন্দুক এবং টিয়ার গ্যাস নিয়ে আক্রমণ শুরু করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই ১৫ বছর ধরে তোমরা অত্যাচার চালাচ্ছো, গুম করছো, মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছো। কিন্তু আজকে জনগণের যে উত্তাল তরঙ্গ শুরু হয়েছে। আমি ছাত্র সমাজকে বলবো, এদেশে যত পরিবর্তন হয়েছে, ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এবারো যে পরিবর্তন হবে তা আমার ছাত্রদলের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে হবে, দূর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আমাদের দায়িত্ব একটাই দেশের সকল ছাত্র সমাজকে, তরুন-যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ করে একটা দূর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগের বাধ্য করতে হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা লাঠি নিয়ে কোনো মিটিংয়ে যাই না, যেতেও চাই না। কিন্তু আপনারা ঘোষণা দেবেন লাঠি নিয়ে মিছিল করা যাবে না। অন্যদিকে আপনারা লাঠি দিয়ে পেটাবেন এটা ভালো কথা হলো না, এটা সঠিক কথা হলো না। আমরা লাঠি নিয়ে খেলা করি না-ওটা আপনারা খেলেন। আপনারা দেখিয়েছেন লাঠিপেটা করে কিভাবে মানুষ হত্যা করতে হয় ১/১১ সময়ে। ১/১১ পূর্ববর্তীতে যে নরককাÐ ঘটিয়েছেন, যে নারকীয় কাÐ ঘটিয়েছেন তা কখনোই দেশের মানুষ ভুলবেন না।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল-মিটিং করতে চাই। কিন্তু সেইদিন ২৭ তারিখে তেজগাঁওয়ে আমাদের মিছিলে হামলা করেছেন আপনারা-এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।
ছাত্র দলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, শামসুজ্জামান দুদু, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, এসএম জিলানী, মোনায়েম মুন্না, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেন, ছাত্র দলের রাশেদ ইকবাল খান, রাকিবুল ইসলাম ও আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।