Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

স্বামী-স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকায় স্বামী-স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাদের কাছ থেকে হত্যা কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়টি জানান।

পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আলমডাঙ্গা পৌর শহরের পুরাতন বাজারের নিজ বাড়ির বসত ঘর থেকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় ষাটোর্ধ্ব নজির উদ্দিন ও ফরিদা খাতুুন দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়। নজির উদ্দিনকে শৌচাগারের ভেতরে হাত-মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে শোবার ঘরের মেঝেতে ফেলে গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করে বাড়ির বাইরে থেকে দরজায় তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর ওই দম্পত্তির মেয়ে ডালিয়া পারভীন শিলা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত আসামিদের আটক করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, রক্তমাখা জামা কাপড়, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ধরনের আলামত উদ্ধার করা হয়।
আটক আসামিরা হলো, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর মাঝেরপাড়ার বজলুল রহমানের ছেলে শাহাবুল হক, একই এলাকার শেষ পাড়ায় পিন্টু রহমানের ছেলে রাজীব হোসেন, মাঝের পাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী ও স্কুল পাড়ার তাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন ।
মামলাটির তদন্তকালে জানা যায়, আসামি শাহাবুল আগে নজির উদ্দিনের ট্রলি চালক ছিলো। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সে ঘটনার দিন ২৩ সেপ্টেম্বর নজির উদ্দিনের নিকট বালু কেনার প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে একই দিন রাত আনুমানিক ৮টার সময় আসামিরা পরস্পর যোগসাজস করে তার বাড়ির সামনে এসে তাকে ডাকতে থাকে। নজির উদ্দিন তার বাড়ির প্রধান ফটক খুলে দিলে তারা সেখানে প্রবেশ করে। এরপর তারা নগদ টাকা পাওয়ার আশায় তাদের অস্ত্রের ভয় দেখায়। তাতে কাজ না হলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই দম্পত্তিকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করে তারা বাড়ির বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে চলে যায়। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য চুয়াডাঙ্গা ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ এক যোগে কাজ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ