রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ভারত থেকে আমদানি করা পাথর বহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক ও ড্রাম ট্রাকের কারণে বেহাল হয়ে পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক। এছাড়া নিষিদ্ধ হলেও পাথরবোঝাই এসব যানবাহন দিন দুপুরে চলাচল করায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট এবং ঘটছে দুর্ঘটনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে কালো পাথর (বøাকস্টন) ও সাদা নুড়ি পাথর আমদানি করে থাকেন স্থানীয় ঠিকাদাররা। এসব পাথর সৈয়দপুরে রেলওয়ে মালবাহী বগি থেকে স্টেশনে ইয়ার্ড এলাকায় খালাস করা হয়। সেখান থেকে ট্রাক ও ড্রামট্রাক করে পাথরগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রেল ও পৌরবিধি না মেনেই পাথর খালাস ও পরিবহন করা হচ্ছে। ট্রাক ও ড্রাম ট্রাকে করে ৩০ থেকে ৪০ টনের বেশি পাথর পরিবহন করা হচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন গড়ে ৫০টি ট্রাক শহরের সড়কগুলোতে চলাচল করছে।
এদিকে, অতিরিক্ত ভারবাহী এসব যানবাহনের চাপে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কগুলোর কার্পেটিং ওঠে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ এবং প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয়, চলতি বছরের মার্চ মাসে শহরের শেরে বাংলা সড়কের গোলাহাট এলাকায় ট্রাকচাপায় একই এলাকার জালাল উদ্দীনের মেয়ে মুসকান (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যুও হয়েছে।
গতকাল সরেজমিনে শেরে বাংলা সড়কে দেখা গেছে, সড়কের ওপর রাখা ৩০টি ড্রাম ট্রাকে ভেকুগাড়ি দিয়ে পাথর ওঠানো হচ্ছে। পাথর ওঠানো সময় গাড়ি থেকে পাথর গিয়ে পড়ছে সড়কের ওপর। এ সময় পুরো এলাকা ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। মাত্র তিন মাস আগে সংস্কার করা হলেও সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কে চলাচল করা সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চালকেরা বলেন, ‘পাথর বহনকারী ড্রাম ট্রাক চলার কারণে সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে খানাখন্দে পানি থাকায় তাঁদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।’
স্কুলশিক্ষার্থী সুমাইয়া পারভীন জানায়, পাথর বহনকারী ট্রাকের কারণে আতঙ্ক নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। তা ছাড়া পাথরের ধুলার কারণে প্রতিদিন স্কুলের পোশাক নোংরা হয়ে যাচ্ছে।
শহরের গোলাহাট এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহাগ বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানি করা পাথর বহনের ড্রাম ট্রাকে কোটি কোটি টাকার সড়ক নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া মারাত্মক শব্দদূষণ ও ধুলাবালির কারণে সড়ক সংলগ্ন বাড়িতেও বাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
সৈয়দপুর পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বলেন, ‘দিনের বেলায় শহরের ভেতরে বড় যানবাহন চলাচল নিষেধ রয়েছে। ওভারলোড পাথর পরিবহনের জন্য সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।