Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রমিক সঙ্কটে ক্ষেতের ধান ঘরে তুলতে পারছে না কৃষক

| প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। তবে সর্বত্র কৃষি শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে ধান কাটতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আমন ভালো ফলন হলেও ধানের দর তেমন ভালো না থাকায় কৃষকের মুখে হাসি নেই। প্রচ- খরায় ও পোকার আক্রমণের ফলে ফলন কম হয়েছে। তারপরও কৃষি শ্রমিকের মূল্য খুবই চড়া। দৈনিক দু-বেলা খাবার দিয়ে ও ২শ’ থেকে ২৫০ টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এতে করে নির্ধারিত সময়ে ধান কেটে ঘরে এনে পুনরায় আবার বোরোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন পুরোদমে ধান কাটার মৌসুম চলছে। তাই এখানকার কৃষকরা পার করছেন ব্যস্ত সময়। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আমন আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ২৬৫ হেক্টর। এতে করে মোট ৮৯ হাজার  ৬০ মে.টন ধান উৎপাদন হয়েছে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার কৃষকের মধ্যে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বোরো আবাদ ও রোপণের জন্য কৃষকরা এখন পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন আমন ধান কাটার জন্য। বিভিন্ন হাট-বাজারে নতুন ধান উঠলেও বেচা-কেনা খুবই কম। চিকন ধান প্রতিমণ ৮শ’ থেকে ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটা ধান প্রতিমণ ৫২০ টাকা থেকে ৫৫০ দরে বিক্রি হচ্ছে। দিগলবাগ গ্রামের কৃষক মো. নজরুল ইসলাম জানান, বড় আশা নিয়ে আমন ফসল করেছিলাম। কিন্তু ন্যায্যমূল্য আমরা পাইনি। এ ফসল করতে প্রচুর টাকা ব্যয় হয়েছে। আমন ফসল করতে যে টাকা খরচ করেছি তা উঠবে না। ফলে আগামীতে অনেকেই বোরো ফসল করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা ইউরিয়াসহ বিভিন্ন সার বেশি দামে কিনে দিয়েছিল। তারপর আবার বেশি দামে মজুরি দিয়ে ধান রোপণসহ বিভিন্ন ধরনের পরিচর্চা করেন। বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষি শ্রমিকের অভাবে ধান কাটা যাচ্ছে না। শ্রমিকের অভাবের কারণ হচ্ছে যে, অনেকেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ বিদেশে চলে গেছেন। এক সময় গফরগাঁও রেলস্টেশনে বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত শ্রমিক আসত কৃষি কাজ করার জন্য। কালের বিবর্তনের সে দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। দিনবদল পালার সাথে সাথে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ