রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর চার মালিকের হামলা-মামলার দ্বন্দ্বে ১২৫ কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে করে একদিকে শিক্ষক অন্যদিকে অভিভাবকদের মাঝে চরম উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতি দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। এদিকে ওই স্কুলটি ভুয়া জাল দলিল দিয়ে নিবন্ধনের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার চরআবাবিল ইউনিয়নের গাইয়াচর গ্রামের মিতালী বাজার সংলগ্ন আল-আরাফাহ কেজি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ জায়েদ হোসেন, ফারুক হোসেন ছকিদার, তোফায়েল আহাম্মদ ও মাওলানা আবু হানিফ আব্দুল্লাহ। মামলার এজাহারে জানা যায়, জায়েদ হোসেনসহ ১১ ব্যক্তি ২০০১ সালে স্থানীয় আনা মিয়া হাওলাদারের কাছ থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে ৪ জন শিক্ষক ও ৯৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলটি কোন রকম চললেও এক পর্যায়ে জায়েদ হোসেন অপর ১১ শেয়ারের কাছ থেকে মৌখিক চুক্তিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় একক মালিকানা কিনে নেন। পরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে স্কুলটির উন্নয়নমূলক কাজ করেন। ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জায়েদ হোসেন পরোক্ষভাবে স্থানীয় মাষ্টার তোফায়েল আহাম্মদ ও শিক্ষক মাওলানা আবু হানিফ মোঃ আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন করেন। এক বছর পর প্রধান শিক্ষক সুলতান আহাম্মদ মোল্যা, মাষ্টার তোফায়েল ও মাও. আবু হানিফ মোঃ আব্দুল্লাহর সাথে জাহেদ হোসেনের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরে ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর জায়েদ হোসেন বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক, সুলতান আহাম্মদ মোল্লাসহ ৫ জনকে আসমিকে করে লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার সমাধান না হওয়ায় জায়েদ হোসেন আবার গত ২৬ নভেম্বর যায়েদ হোসেন আবার রায়পুর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৭ ধারায় মামলা করেন। জায়েদ হোসেন বলেন, ফারুক ও জাকির হোসেন আমার সাথে প্রতারণা করে আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়। স্কুলে না আসার জন্য আ’লীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের দিয়ে চাঁদা দাবি করে এবং বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার হুমকি দেয়। সেজন্য বিচার দাবি জানিয়ে আদালতে দুটি মামলা করেছি। স্কুল প্রধান শিক্ষক সুলতান আহাম্মদ মোল্লা বলেন, আমাদের সাথে জায়েদ হোসেনের শেয়ার নিয়ে ও জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। মিথ্যা ২টি মামলা করে হয়ারানি করছেন। আদালত মামলা দুইটি তদন্ত করে যা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা ফেরদৌস বলেন, আল-আরফা নামে কেজি স্কুলটির মালিকানা নিয়ে যায়েদ হোসেনের আদালতে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত চলছে। জাল দলিল দিয়ে কেজি স্কুল নিবন্ধন কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।