মোরেলগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিকলীগের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০জন দলীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের কেয়ারের বাজারে একটি দোকান ও দলীয় কার্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারনিয়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের মাঝে পড়ে স্থানীয় ৩ নারী ও কমিউনিটি পুলিশের ১০/১২জন সদস্যও আহত হয়েছেন। তারা আজ সকালে বাগেরহাটে কমিউনিটি পুলিশের সমাবেশে যোগদানের জন্য যাচ্ছিলেন।

সংঘর্ষে জড়িতরা আল্লারদান হোটেল, কথিত আ. লীগ অফিস ঘর তথা বিতর্কিত সেই দোকান ঘর ও একটি মটর সাইকেল ভাংচুর করে। খবর পেয়ে সন্ন্যাসী ফাঁড়ি পুলিশের একটি দল লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন মটর শ্রমিকলীগ সভাপতি আসলাম তালুকদার, চালকলীগের সাধারণ সম্পাদক আলামীন জোমাদ্দার, ফরহাদ তালুকদার ও ওসমানগনিসহ ১০জনকে মোরেলগঞ্জ ও ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সভাপাতি বেল্লাল হোসাইন(২৬) কে ভর্তি করা হয় পার্শ্ববর্তী শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে।

মোরেলগঞ্জ হাসপাতাল থেকে আলামীন, ফরহাদ, ওসমান গনি, মিজান, আসলাম, মহিদুল, মনির ও ছাত্রলীগ নেতা নাইম চাপরাশিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

অপর আহতদের মধ্যে রয়েছেন, ওয়ার্ড আ. লীগ সভাপতি শাহাদত তালুকদার(৫০), ছত্তার তালুকদার(৭০), জেলা নৌযান শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন জোমাদ্দার(৩৮), ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আলমগীর হাওলাদার(৪৫), ওয়ার্ড মেম্বার রানী বেগম(২৪), রুবেল(২২), তাতীলীগ ইউনিয়ন সভাপতি মনির তালুকদার(২৮), শ্রমিকলীগ নেতা জুয়েল তালুকদার(২০), মোমেনা বেগম(৬৫), নুরজাহান বেগম(৬০) ও রহিম তালুকদার(৩৮)।

থানার ওসি রাশেদুল আলম বলেন, এটা কোন প্রকার রাজনৈতিক বিষয় নয়। একটি বিতর্কিত জমির উপরে থাকা দোকান ঘরের দখল নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।