বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের ‘পরকীয়া’চলছে কি না— তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেছেন, তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে, কিন্তু বেআইনি ঘোষণা করে না। তা হলে কী আমি বলব? তাদের মধ্যে পরকীয়া চলছে?
আজ সোমবার বিকেলে ধানমন্ডির হাজারীবাগে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা ও নেতা-কর্মীদের ‘হত্যা’র প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ধানমন্ডি জোন-৪ । টুকু বলেন, আমাদের বলা হয়েছে বিএনপি-জামায়াত। আওয়ামী লীগ তাদের নিবন্ধন বাতিল করে বেআইনি ঘোষণা করল না কেন? আওয়ামী লীগ জামায়াতের ফাঁদে পড়েছে? এখন সময় এসেছে আওয়ামী-জামায়াত বলার। জামায়াতও উর্দু, আওয়ামীও উর্দু। দুটির সঙ্গে মিলবে ভালো।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ যে ঝড়-ঝাপটা গেছে, অলি-গলি থেকে আওয়ামী লীগ আমাদের ওপরে গুপ্ত হামলা করছিল। পুলিশ যদি আমাদের জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় বেতনভুক্ত না হয়ে তাদের দলীয় কর্মী হতো, তাহলে আমরা এখানে সভা করতে পারতাম না। এজন্য আমি পুলিশকে ধন্যবাদ দিই। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা গণতন্ত্রের জন্য রুখে দাঁড়াবেন— এটিই আমাদের প্রত্যাশা। সময় এসে গেছে। জনগণের কাতারে ফিরে আসুন, সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিন।
বিএনপি আত্মরক্ষায় লাঠি হাতে নিয়েছে— দাবি করে টুকু বলেন, আজ আমি হঠাৎ করে দেখলাম আমাদের ছেলেদের হাতে লাঠি। তারা আত্মরক্ষার জন্য লাঠি হাতে নিয়েছে। টেলিভিশনের টকশোতে বিএনপির লাঠি নিয়ে আলোচনা করবেন না। লাঠি আপনারা (ক্ষমতাসীনরা) তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিদেশি ঋণের ভার বহন করবে দেশের ১৮ কোটি জনগণ— বিএনপি সে উন্নয়ন চায় না। সে ফাঁস বিএনপি চায় না, চায় সুষম উন্নয়ন।
মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম-আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আবদুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, শেখ রবিউল আলম রবি, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ। সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে বিভিন্ন মোড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময়ে গণমাধ্যমের কয়েকজন কর্মীও আহত হন। সমাবেশ উপলক্ষে হাজারীবাগে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।