বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রকৃত ঘটনার বদলে মনগড়া ঘটনায় মামলা গ্রহণ নিয়ে সময় ক্ষেপন ও ঘটনার মূল হোতাকে ঘটনাস্থল বা এলাকা থেকে চলে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সঠিক দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায়ে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার তিন পুলিশকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ওই উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন চাপিতলা গ্রামে এক গর্ভবতী গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বদলে গাফিলতির কারণে তিন পুলিশকে ক্লোজড করা হয়।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন। ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই ওমর ফারুক, এএসআই আতাউর রহমান এবং কনস্টেবল মামুন।
ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা গ্রামে ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে মা ও ছোট সন্তানকে মারধর করে হাত-পা বেধে মুখে স্কচট্যাপ লাগিয়ে তার গর্ভবতী কন্যাকে পাশের রুমে নিয়ে ৭/৮ যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় ওই নারীর বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও ধারণ করা হয়। তখন মেয়েটির গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য পেটে লাথি মেরে আহত করা হয়। ঘটনার পরদিন গত শুক্রবার এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ করতে গেলে প্রকৃত সত্য ঘটনাকে আড়াল করে সাধারণ চুরির অভিযোগ নিয়ে সময় ক্ষেপন করেন থানার এসআই ওমর ফারুক। এসময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার মূল হোতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে মামলার বিষয়ে কথা বলে তাকে এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, এক গর্ভবতী গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও ধর্ষণের ঘটনায় গাফিলতির কারণে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে একজন সাব ইন্সপেক্টর, একজন সহকারি সাব ইন্সপেক্টর ও একজন কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।