Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পেনশনোত্তর সুবিধা চাইলেন বগুড়া আর্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা নারী প্রিন্সিপাল

কান্না জড়ানো কণ্ঠে সংবাদ সম্মেলন

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বগুড়া তথা দেশের মধ্যে প্রথম নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নান্দনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বগুড়া আর্ট কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন হেলেনা খানম ইরানী। কিন্তু মহলবিশেষের চক্রান্তে প্রতিষ্ঠানটি থেকে তিনি চাকরিচ্যুত হন।

বন্ধ হয়ে যায় তার বেতন ভাতা। দীর্ঘ প্রশাসনিক ও আইনি লড়াই করতে করতে তাঁর মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ এবং আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হলেও বেতন ভাতা ও অবসরকালীন সুবিধাটুকুও তাঁর জোটেনি। ফলে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে চীরকুমারী এই নারী নান্দনিক শিক্ষা উদ্যোক্তা প্রিন্সিপাল হেলেনা খানম ইরানীকে নিঃস্ব, একাকী জীবনের দুঃসহ অধ্যায় পার করতে হচ্ছে। অবস্থার প্রেক্ষিতে কোথাও কোন সহযোগিতা না পেয়ে অবশেষে প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ এবং তাঁর সদয় হস্তক্ষেপের আশায় সংবাদ সম্মেলনে নিজের দুঃখ, বেদনা হতাশার কথা তুলে ধরলেন হেলেনা খানম ইরানী। গত শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়ানো হেলেনা খানম ইরানী বলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনিস্টিউট থেকে এম এফ এ ডিগ্রি সম্পন্ন করি। এরপর সারাদেশে একমাত্র নারী নান্দনিক শিক্ষা উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি নিজের ও অগ্রজ ভাইয়ের অর্থে বগুড়া আর্ট কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং ২০০২ ইং সালে এমপিওভুক্ত হয়। ২০১৩ সালে নির্বাচনকালীন সময়ের গভর্নিং বডির প্রধান হিসেবে তৎকালীন এডিএম তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীমহলের প্ররোচনায় তাকে বরখাস্ত করেন। একই সাথে ষড়যন্ত্রকারী নন আর্টিস্ট শিক্ষক উম্মে হাবিবকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেন। বিষয়টি বেআইনী হওয়ায় তিনি ন্যায়বিচারের আশায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের প্রতিটি ধাপে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। পরাজিত হয়েছে প্রতিপক্ষ। লড়াই করতে করতে ২০২০ সালে তাঁর চাকুরির মেয়াদ পেরিয়ে গেছে। তারপরও রহস্যজনক কারণে আদালতের এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় তিনি খুবই অসহায়, মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর দৃঢ বিশ্বাস কেবলমাত্র জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারলেই তাঁর সমস্যার সমাধান সম্ভব। এজন্য তিনি সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ