Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহেশপুরে হতদরিদ্র কৃষকের পোষাগরু সিজার লিস্ট করলো বিজিবি!

| প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলা কাঞ্চনপুর গ্রামের হতদরিদ্র আতিকুল ইসলাম হান্টু ও বাবলু নামে দুইদিন মজুরের দুইটি পোষা গরু নিয়ে গেছে বিজিবি। বুধবার ঝিনাইদহ আদালত প্রাঙ্গণে আইনী সহায়তা নিতে এসে কৃষক বাবলু কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ ডিসেম্বর অন্যায়ভাবে বাড়ির পোষা গরু সিজার লিস্ট করেন বিজিবি শ্যামকুড় ক্যাম্প কমান্ডার নাজমুল হোসেন। গরীব কৃষক আতিকুল ও বাবলু জানান, ৩/৪ মাস আগে শিয়ালমারি বাজার থেকে গরু দুইটি কিনে তারা বাড়িতে পালন করছিলেন। টাকার প্রয়োজন হওয়ায় গরু দুইটি বাজারে বিক্রি করার জন্য তারা হাটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কৃষক বাবলু জানান, মেম্বার ও চেয়ারম্যানের সিল স্বাক্ষর নিয়ে বাগাডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের স্বাক্ষর নিয়ে বাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় বাগাডাঙ্গা ও পলিয়ানপুর বিজিবির টহল দল নেপার মোড়ে তাদের গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র সঠিক পেয়ে গরু ছেড়ে দেন।
এরপর তারা মহেশপুরের সেজিয়া বাজার পার হতে না হতেই শ্যামকুড় বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার নাজমুল হোসেন ভারতীয় বলে গাড়ী থেকে গরু নামিয়ে নেন। বিষয়টি তারা গ্রামের মেম্বার বজলুর রহমানকে জানান। ইউপি মেম্বর বিজিবি ক্যাম্পে কাগজপত্র নিয়ে বাড়ির পালিত গরু দাবী করলেও শ্যামকুড় ক্যাম্প কমান্ডার নাজমুল হোসেন অন্যায়ভাবে গরু সিজার লিষ্ট করে চালান দেন। বাড়ির পোষা গরু হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষক বাবলু ও হান্টু। এই বিষয়ে নেপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল আলম মৃধা জানান, আমি স্থানীয় ইউপি মেম্বার বজলুর রহমানের সাথে কথা বলে জানতে পারি গরু দুইটি বাড়ির। চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমি শ্যামকুড় বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার নাজমুলের সাখে কথা বললে তিনি আমাকে সিওর সাথে কথা বলতে বলেন। কিন্তু আমি বিজিবির টুআইসির সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। চেয়ারম্যান সামছুল আলম মৃধা অভিযোগ করেন, এভাবে যদি সীমান্তের গরীব কৃষকদের গরু অন্যায়ভাবে সিজার লিষ্ট করে চালান দেয়া হয় তাহলে তারা কোথায় যাবে? এ ব্যাপারে শ্যামকুড় বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার নাজমুল হোসেন ফোন রিসিভ করে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার বলে এড়িয়ে যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ