Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাফেজ তাকরীমের অর্জনে আনন্দে মুখর নাগরপুর

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইলের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম ৪২তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। তার এই সাফল্যে আনন্দের জোয়ার বইছে নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা গ্রামে।

সউদী সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সময় গত বুধবার রাতে মক্কার পবিত্র হারাম শরীফে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় তাকরীমকে এক লাখ রিয়াল, বাংলাদেশের প্রায় ৩০ লাখ টাকা পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সাউদী বাদশাহ সালমানের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাঁর উপদেষ্টা ও মক্কা নগরীর গভর্নর খালেদ আল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এবং দেশটির ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শেখসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে এর চূড়ান্ত পর্ব ২১ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত হয়। প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশ থেকে ১৫৩ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ১৫ প্রতিযোগীকে ২৭ লাখ রিয়াল পুরস্কার দেওয়া হয়। এর আগে গত ১৬ জুন লিবিয়ার রাজধানী বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৪০টি দেশের মধ্যে সালেহ আহমাদ তাকরীম ৭ম স্থান অর্জনের পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা লাভ করে। তাছাড়া গত ৫ মার্চ ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ২৯টি দেশের মধ্যে তাকরীম প্রথম স্থান অর্জন করে।
ভাদ্রা গ্রামের মো. সম্রাট জানান, এর আগেও তাকরীম একটি আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করেছিলো। এবার সাউদী আরবে প্রতিযোগিতায় যাওয়ার পর থেকে গ্রামের মানুষ তার সাফল্যের আশায় বসে ছিলো। তাকরীম গ্রামবাসীর সে আশা পূরণ করেছে। তার সাফল্যে পুরো টাঙ্গাইল জেলা সম্মানিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, তাকরীমের সাফল্যের খবর গ্রামে পৌছার পর তাদের বাড়িতে গিয়ে অনেকেই তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে স্বাক্ষাত করে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন জানান, তাকরীম দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। এর আগেও লিবিয়া থেকে পুরস্কার নিয়ে আসার পর তাকে ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। এবারও তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
ভাদ্রা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ শাহ আলম জানান, তাকরীম আগামী বুধবার গ্রামে আসবে বলে জানা গেছে। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে সবাই প্রস্তুত হয়ে আছে। সে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে।
তকরীমের মা বলেন, তাকরীমের ছয় বছর বয়সে আমি অসুস্থ হলে বাবার কাছে থেকেই পড়াশুনা শুরু করে। ছোট বেলা থেকেই সে ছিল অদম্য মেধাবী ও পড়াশুনার প্রতি আগ্রহী।
উল্লেখ্য, হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম ঢাকার মারকাযুল ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদরাসার শিক্ষার্থী। তার বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান সাভারের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ