Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শোকে মুহ্যমান ময়মনসিংহ : অঝোরে কাঁদলেন বাবা

শাকিলের দাফন সম্পন্ন

| প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো: শামসুল আলম খান : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুতে অস্বাভাবিক এক শূন্যতা গ্রাস করেছে ময়মনসিংহবাসীর হৃদয়ে। প্রিয়জন হারানোর অব্যক্ত বেদনায় অশ্রুসজল হয়ে পড়েছে লাখো মানুষের চোখ। নগরীর বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ- সবাই যেন স্বজন হারানোর শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন।
জ্যেষ্ঠ সন্তান শাকিলকে চিরদিনের জন্য বিদায় দিতে গিয়ে অঝোরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাবা ময়মনসিংহ জেলা আ’লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। তার কান্না স্পর্শ করে কাছের মানুষ থেকে দূরের মানুষকেও।
বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে শাকিলের দ্বিতীয় নামাজে জানাজার সময় নিজের সন্তানের টুকরো টুকরো স্মৃতি তুলে ধরে আহাজারি করছিলেন ময়মনসিংহ আ’লীগের এ বর্ষীয়ান রাজনীতিক।
‘প্রতিটি মানুষ চায় নিজে মারা গেলে তার সন্তান কাঁধে লাশ নেবে। জানাজা পড়বে। কিন্তু আমার বেলায় ব্যতিক্রম হয়েছে। আমার সন্তানের লাশ আমার কাঁধে নিতে হবে। এটা যে কী দুঃসহ যন্ত্রণার ভারি  বোঝা তা বলে বুঝানো যায় না’ শোকাতুর কণ্ঠে এমন বেদনার্ত উচ্চারণ অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার।
অশ্রুসজল চোখে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান বলেন, আমরা দু’জনেই চরম দুর্ভাগ্যের শিকার। তিন বছর আগে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আমি আমার কনিষ্ঠ সন্তান ডা: শুভকে হারিয়েছি। প্রবীণ রাজনীতিক অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা হারালেন আদরের সন্তান শাকিলকে। এ সময়টাতেও অসংখ্য মানুষের চোখ ভিজে যায় বোবা কান্নায়।
কবি মাহবুবুল হক শাকিলের চলে যাওয়ায় বুকফাটা কান্না চলছে ময়মনসিংহের কোটি মানুষের হৃদয়ে। মানুষকে কাছে টেনে নেয়ার এক সম্মোহনী শক্তি ছিল শাকিলের। তার মতো সৃজনশীল রাজনীতিকের চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি, বলছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ নেতা শাহীনুর রহমান।
ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে শাকিলের দ্বিতীয় নামাজে জানাজায় হাজার হাজার মানুষ শরিক হন। শোকার্ত মানুষের ভিড়ে সেখানে সৃষ্টি হয় জনারণ্যের। এ সময় ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শেখর, আশরাফুল আলম খোকন, এফবিসিসিআই পরিচালক আমিনুল হক শামীম, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান বদি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ.কে.এম. মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল পাঠান সেতু, ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ নেতা শাহীনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
‘নিজের বয়স পঞ্চাশ পেরুনোর আগেই রাজনীতির পাশাপাশি দেশের শিল্প-সাংস্কৃতিক জগতেও মাহবুবুল হক শাকিল ছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ২০০১ সালের প্রেক্ষাপটে আ’লীগের গবেষণা সেল সিআরআই গঠন করা হয়েছিল। এখানেও এটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মাহবুবুল হক শাকিল। তার মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি’, বলছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা।
এর আগে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা থেকে নগরীর বাঘমারা রোডস্থ বাসায় এসে পৌঁছে কবি মাহবুবুল হক শাকিলের লাশ। এরপর বিকেল ৪টার দিকে তার লাশ নগরীর টাউন হল এলাকার ভাষা শহীদ শামসুল হক মঞ্চের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে শেষবারের মতো শোক-শ্রদ্ধা জানান রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এরপর নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে নগরীর ভাটিকাশর গোরস্থানে তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় মাহবুবুল হক শাকিলের লাশ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
স্টাফ রিপোর্টার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী, সাবেক ছাত্রলীগনেতা মাহবুবুল হক শাকিলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। গতকাল বুধবার সকালে প্রথম নামাজে জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাজা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে সকল পেশা-শ্রেণির মানুষ ও তার রাজনৈতিক সহকর্মীসহ বিভিন্ন অঙ্গনের লোকজন কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত প্রথম জানাযায় সরকারের মন্ত্রীবর্গ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন।
পরে মসজিদ চত্বরে শাকিলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শাকিলের লাশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও ডেপুটি প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। এর আগে গতকাল সকাল আটটায় বারডেম থেকে শাকিলের লাশের ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জানাযার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাযা শেষে মাহবুবুল হক শাকিলের লাশ ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত জানাযায় অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও এ কেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান সিরাজ, আব্দুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, দেলোয়ার হোসেন, ফজলে নূর তাপস, নাজমুল হাসান পাপন, আফজাল হোসেন, সাইফুজ্জামান শেখর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও শাকিলের রাজনৈতিক সহকর্মী, বন্ধু, স্বজনেরা।
জানাযার আগে শাকিলের ছোট ভাই মাহমুদুল হক রিপন বলেন, আমার ভাই আমাদের চেয়ে আপনাদের সঙ্গে বেশি সময় কাটিয়েছেন। তার চলার পথে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে আপনারা ক্ষমা করে দেবেন। কোনও দেনা-পাওনা থাকলে আমি পরিশোধ করে দেবো। আমার ভাইকে আপনারা সবাই মাফ করে দেবেন।
জানাযা শেষে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শাকিলের লাশ দাফনের উদ্দেশে অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহে রওনা হয়। বেলা আড়াইটায় ময়মনসিংহ শহরের বাঘমারা এলাকার বাসায় পৌঁছায়।
এর আগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ জানাযার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে আনা হয়। গতকাল বাদ মাগরিব দ্বিতীয় জানাযা শেষে ময়মনসিংহের পৌর শহরের কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
শাকিলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, জানা যায়নি মৃত্যুর কারণ
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেননি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ইন্টারনাল বা এক্সটারনাল কোনো ইনজুরির চিহ্ন আমরা পাইনি।
ঠিক কী কারণে শাকিলের মৃত্যু হয়েছে জানতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাকস্থলী ও পেশীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে চিকিৎসক বলেন, উনার হার্ট স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বড় ছিল। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল কি না জানতে আমরা নমুনা হিস্টোপ্যাথলজিতে পাঠিয়েছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র শাকিল এক সময় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সেল সিআরআইর শুরুতে তা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ৪৭ বছর বয়সী শাকিলকে গত মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানের সামদাদো নামে একটি জাপানিজ রেস্তোরাঁ থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম, সামরিক সচিব মেজর  জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিনসহ অনেকেই সেখানে ছুটে যান।
সামদাদো নামে ওই রেস্তোরাঁর পাঁচ কর্মীকে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। পুলিশের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও সেখানে যান। তারা বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়  তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কীভাবে শাকিলের মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিআইডিও তা খতিয়ে দেখছে। রহস্য যদি কিছু থেকে থাকে, তা জানা যাবে।



 

Show all comments
  • Mohammad Akram ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:৪২ পিএম says : 0
    আল্লাহতালা যাকে যে সময় ডাক দেয় সেসময় চলে যেতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগ নেতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ