রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনীর চর পদ্মা মৌজার খাস খতিয়ান ভুক্ত শতশত একর জমি অবৈধভাবে বিএস রেকর্ড সৃজন করে বিক্রি ও হস্তান্তরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। গতকাল
শনিবার সকাল ১০টার দিকে চন্দনীর ধাওয়াপাড়া ফেরি ঘাটে পদ্মার পাড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেনে, স্থানীয় আরব আলী, আব্দুল হাকিম, জলিল মন্ডল, শহিদ শেখ, আতাউর রহমান প্রমুখ।
জানা যায়, চন্দনীর চর পদ্মা মৌজার কয়েকশ একর জমি পদ্মায় বিলিন হওয়ায় খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। দীর্ঘ দিন পর ওই জমি জেগে উঠলে স্থানীয়রা গরু-ছাগল চড়াতে গেলে তাদের সম্পত্তি দাবি করে বাঁধা প্রদান করে ফজলু নামের এক ব্যাক্তি। পরবর্তীতে জানা যায় অবৈধভাবে বিএস রেকর্ডের মাধ্যমে ওই জমি ফজলু তার আত্মীয়-স্বজনসহ নামে বেনামে অনেকের নামে করে নিয়েছে। কিন্তু তাদের কেউ স্থানীয় না।
মানববন্ধন শেষে অবৈধ বিএস রেকর্ড বাতিল করে স্থানীয় মুল ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি হস্তান্তরের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয়রা। পড়ে ভূমি সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ফজলু ব্যাপারী ও তার ভাতিজা মোতালেব নামের ব্যাক্তিরা নদী ভাঙনের সরকারী খতিয়ানভুক্ত শতশত একর খাস জমি তাদের আত্মীয় স্বজনসহ নামে বেনামে অবৈধভাবে বিএস রেকর্ড করে এখন বিক্রি করছে। ওইসব চরের জমিতে যেগে গেলে ভয়ভীতিসহ নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। আসলে নদী ভাঙনের জমি তো কেউ ইচ্ছা করলে বিক্রি করতে পারবে না। তাই দ্রুত যখাযথ আইনি প্রদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে ওই সব জমি ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তরের অনুরোধ জানান বক্তরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।