পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রাইমারি স্কুলে অধ্যয়নরত শিশুদের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি নয় এমন ওজনের ব্যাগ বহনের বিষয়ে আইন প্রণয়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের কপি প্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে সরকারকে আইন প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশিস রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। একইসঙ্গে আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত ‘শিশুদের ভারী স্কুলব্যাগ বহন করা যাবে না এই মর্মে এক মাসের মধ্যে সার্কুলার জারি করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সার্কুলারে মনিটরিং সেল গঠন, শিশুদের ১০ শতাংশের বেশি ওজন বহন করানো হলে শাস্তিমূলক কী ব্যবস্থা থাকবে, তা উল্লেখ করে ওই পরিপত্র জারি করতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিকের স্কুল ব্যাগ বহনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিমকোর্টে তিন আইনজীবী ২০১৪ সালে একটি রিট করেন। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়েছিলেন। রুলে প্রাথমিক স্কুলগামী শিশুদের শরীরে ১০ শতাংশের বেশি ওজনের ব্যাগ বহনের নিষেধে আইন প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। হাইকোর্ট এ রুলের শুনানি শেষে রায় দেন। আদালতে রিট আবেদনকারী তিন আইনজীবী মাসুদ হোসেন দোলন, মো. জিয়াউল হক ও মো. আনোয়ারুল করিম উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে মাসুদ হোসেন দোলন সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বলেছেন, ১০ শতাংশের বেশি ওজনের ব্যাগ বহন করলে শিশুদের শরীরে ইনজুরি হয়, যেটা সারা জীবন বহন করতে হয়। তাই শিশুর ওজনের ১০ শতাংশের বেশি হয়, এমন ওজনের ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ করতে ছয় মাসের মধ্যে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগ বহনের ফলে শিশুরা মেরুদন্ড, কাঁধের ব্যথাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বেড়ে উঠছে। এভাবে একটি প্রজন্ম গড়ে উঠছে। ফলে আদালত এই বিষয়টিকে বলেছেন পাবলিক ইনজুরি।
শিশুদের স্কুলব্যাগের ওজন নিয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ২০১৪ সালে একটি সার্কুলার জারি করেছিল সরকার। সেই সার্কুলার প্রতিপালন না করায় আদালত হাতাশা ব্যক্ত করেছে বলে ওই আইনজীবী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।