Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের মানুষ যথেষ্ঠ কষ্টে আছে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:৪০ পিএম

চাল,ডাল, ভোজ্য তেল,চিনি, পেয়াঁজ ও সবজির দাম এখনো নি¤œ বিত্ত ও নি¤œÑমধ্যবিত্তের ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের সংখ্যা গরিষ্ঠ মনুষ যথেষ্ঠ কষ্টে আছেন। এসব শ্রেণীর মানুষের এখন সংসারের চাকা সচল রাখাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। খরচের লাগাম টেনেও সংসার ব্যায় নির্বাহে কোন স্বস্তি নেই। ফলে হতাশা ভর করছে দক্ষিণাঞ্চলের নি¤œবিত্ত ও নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর মাঝে। অনেকই দোকানে ও বাজার দেখা হলে ক্ষোভও প্রকাশ করছেন। এমন প্রশ্নও করছেন অনেকে ‘নিত্য পণ্যের দাম যে বাড়ল, তা কমবে কবে ?’ অতীতে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সরকার যেসব দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হত, তা অনুপস্থিত গত রমজানের পর থেকেই। ফলে মানুষের দূর্ভোগ আর কষ্ট লাঘবের কোন লক্ষন নেই।

বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের খুচরা বাজারে মধ্যম মানের ‘বিআর-২৮ বা আঠাশ বালাম’ চালের কেজি এখন প্রায় ৫৫ টাকা। এ অঞ্চলে সর্ব নি¤œমানের চালের কেজি এখন ৪৮টাকার নিচে নয়। আর মধ্যমÑভাল মানের মিনিকেট চালের কেজি ইতোমধ্যে ৭৫ টাকা অতিক্রম করেছে। চালের মূল্য বৃদ্ধি রোধে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসে ৩০ টাকা কেজি দরে প্রায় ২৮ হাজার টন চাল দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি উপজেলায় খোলা বাজারে বিক্রী করছে সরকার। একইসাথে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকাগুলোর বাইরে গ্রামঞ্চলের প্রায় ৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রী কার্যক্রমও চলছে। গত বছর অবশ্য এ চালের কেজি ছিল ১০ টাকা। কিন্তু এবার এ চাল বিক্রীর তেমন কোন সুফল এখনো বাজারে মিলছে না।
উপরন্তু দক্ষিণাঞ্চলে গ্রামে-গঞ্জে এসময়ে কৃষি শ্রমিক ও দিন মজুরদের তেমন কোন কাজ না থাকায় নি¤œবিত্ত মানুষের আর্থÑসামাজিক অবস্থাও অনেকটাই নাজুক। করোনা মহামারী শুরুর পর থেকে এ অঞ্চলের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে যে আর্থিক সংকট শুরু হয়েছিল, তা এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি। সাথে নিত্যপণ্যের বাজারে ঊর্ধ্বগতি গোটা দক্ষিণাঞ্চলে আর্থ-সামাজিক ব্যাবস্থাকে আরো নড়বড়ে করে দিয়েছে।
শণিবারেও বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেয়াঁজ বিক্রী হয়েছে ৪২ টাকায়। রসুন ও আদার দাম সহনীয় থাকলেও গোল আলুর কেজি এখনো ২৮-৩০ টাকা। এমনকি শ্রাবন ও ভাদ্রের পূর্নিমায় ভর করে দু দফার অতিবর্ষণে গ্রীষ্মকালীন সবজির বেশীরভাগ এবং আগাম শীতকালীন সবজীর প্রায় পুরোটাই বিনষ্ট হওয়ায় বাজারে এর দাম এখন চড়া। ৪০ টাকার নিচে এখন আর কোন সবজী মিলছে না বাজারে। বরবটি সহ কোন কোন সবজীর কেজি ৮০টাকায়ও উঠেছে। করলার কেজি ৬০ টাকা।
অপরদিকে মুসুর ডালের কেজি এখনো ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। মুগডালের কেজিও ১২০-১৩০ টাকা। এমনকি খেশারী ডালের কেজি এখন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। দাম কমানোর ঘোষনার পরেও বরিশাল মহানগরী সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে শণিবারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রী হয়েছে ৯০Ñ৯৫ টাকায়। সয়াবিন তেলও শনিবারে বিক্রী হয়েছে ১৯০Ñ১৯৫ টাকা লিটারে।
ব্রয়লার মুরগীর কেজি এখনো ১৭০Ñ১৮৫ টাকা কেজি। গরুর গোসতের কেজি ৭শ টাকা। খাশির গোসতের কেজি সাড়ে ৮শ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ