Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঝিনাইদহ পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পৌনে ৮ কোটি টাকা

সড়ক বাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ভুতুড়ে শহর

যশোর ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহের বেশির ভাগ পৌরসভায় আর্থিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। ব্যয়ের সঙ্গে আয় না থাকায় একদিনে যেমন পৌরসভার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কাউন্সিলররা নিয়মিত বেতন ভাতা পাচ্ছেন না তেমনি কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। থেমে গেছে পৌরসভার নিজস্ব উন্নয়ন। ইতিমধ্যে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার কারণে দেশের প্রাচীনতম মহেশপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ওজোপাডিকো)। সড়ক বাতি না থাকার কারণে মহেশপুর পৌর এলাকা এখন ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে।

ঝিনাইদহ ওজোপাডিকো সূত্রে জানা গেছে, ৪টি পৌরসভার কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ানা ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ঝিনাইদহ পৌরসভা ইতিমধ্যে ৮৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে। এছাড়া কোটচাঁদপুর পৌরসভার বকেয়া রয়েছে তিন কোটি ৭৭ লাখ টাকা, মহেশপুর পৌরসভার বকেয়া দুই কোটি ৭০ লাখ ও কালীগঞ্জ পৌরসভার রয়েছে এক কোটি ৫ লাখ টাকা।
ওজোপাডিকের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মহেশপুর পৌরসভার কাছে ওয়েস্টজোনের প্রায় ২০ বছরের বিভিন্ন সময়ে সড়ক বাতিসহ নানা খাতের দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা পাবে। বার বার তাগাদা পত্র দেওয়ার পর বকেয়া পরিশোধ না করায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর সড়ক বাতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মহেশপুর পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান বলেন, বকেয়া বিল মাথায় নিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলাম। তবে কয়েক ধাপে বিদ্যুৎ বিল আংশিক পরিশোধ করেছি। পৌর সভার আয় কম থাকায় এতো টাকার বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের আগে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেয়নি বিদ্যুৎ অফিস। ফলে কত টাকার বিদ্যুৎ বিল আসতো আমার জানা নেই। ২০২০ সালের আগের বিদ্যুৎ বিল না দিয়ে এককালীন ভুতুড়ে বিল চাপিয়ে দিয়েছে। কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, আমার সময়ে বিল বাকি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করা হচ্ছে। যে টাকা বাকি রয়েছে তা সবই বিগত দুই মেয়রের সময়কালের। ওই বকেয়া কিছু কিছু পরিশোধ করা হচ্ছে। মহেশপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী সেকেন্দার হাসান জাহাঙ্গীর জানান, দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা বিল বকেয়া থাকায় পৌরসভার সড়কের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিল পরিশোধে পৌরসভা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা পর্যন্ত সড়কের সংযোগ বন্ধ থাকবে।
ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঝিনাইদহের চারটি পৌরসভার পৌনে আট কোটি টাকার বিল বাকি রয়েছে। আমরা বারবার নোটিশ করার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ বকেয়া পরিশোধ করতে চায় না। ফলে অনিচ্ছা থাকা সত্বেও সড়ক বাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন পৌরসভায় বকেয়া ঠেকাতে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ