Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বগুড়া সদর ইউএনও’র বিরুদ্ধে প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ তদন্ত কমিটি গঠন

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বগুড়ায় সদর উপজেলা নিবাহী কমকর্তা ইউএনওর বিরুদ্ধে নৈশ প্রহরী আলমগীর হোসেনকে বেধরক মারপিটের অভিযোগে জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এক সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়।
বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক জানান, নৈশপ্রহরীকে মারপিটের ঘটনা জানার পর মৌখিকভাবে তদন্তের কথা বলা হয়েছে। গতকাল সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সালাহ্উদ্দিন আহমেদকে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেয়া হয়। এ ছাড়াও যতদ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান ডিসি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সালাহ্উদ্দিন আহমেদ জানান, সদর উপজেলা নিবাহী অফিসারের ওপর অভিযোগের বিষয়ে আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে এখনও লিখিত কোনো নির্দেশনা আসেনি। লিখিত আসার পরই যথাযথ নিয়ম মেনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদরের ইউএনও সমর কুমার পালের বিরুদ্ধে আলমগীর হোসেন নামে এক নৈশপ্রহরীকে পিটিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ উঠেছে। মারপিটের পর তাকে উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পাসে ফেলে রাখা হয়। তবে ইউএনওর দাবি, তাকে কোনো মারপিট করা হয়নি। সে সিমপ্যাথি নেয়ার জন্য এমন অজুহাত দেখাচ্ছে।
আলমগীর হোসেন সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দফতরের নৈশ প্রহরী। তিনি সিরাজগঞ্জ সদরের মেহের আলীর ছেলে। বর্তমানে চাকরির সুবাদে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের কোয়ার্টারে থাকেন।
গত বৃৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীর জানান, আমার বউ বগুড়ায় আমার সাথে থাকতে চায়। এ নিয়ে ১৫ দিন আগেও আমার উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে কমপ্লেইন দিয়েছে। এইটা নিয়ে স্যার আমাকে তিন বার শোকজ করছেন। আমি জবাব দিছি। বৃহস্পতিবার ইউএনও স্যারের কাছে বউ গিয়ে আবার অভিযোগ দেয়।
এই অভিযোগে ইউএনও স্যার আমাকে তার অফিসে ডাকে। আমি গেলে আনসার সদস্যরা আমাকে ধরে তার (ইউএনও) কাছে নিয়ে আসে। আর মোটা মোটা লাঠিও আনে তারা।
নৈশ প্রহরী আরও জানান, ইউএনও স্যার এগিয়ে এসে আমাকে একটু অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়েই আমাকে লাঠি দিয়ে মার শুরু করে। ওই সময় তার দেহরক্ষী দুই আনসার সদস্য আমাকে ধরে ক্যাম্পাসে ফেলে রেখে যায়। তবে সকালে খোঁজ নিয়ে জানা যায় রাতেই আলমগীর ও তার স্বজন সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন।
নৈশপ্রহরী আলমগীরের মেয়ে জামাই মাসুদ রানা বলেন, আমার শ্বশুরের মায়ের বয়স অনেক বেশি। তিনি একটু অসুস্থও। এ জন্য শ্বশুরের বড় ভাই আমাদের গ্রামের বাড়িতেই চলে আসতে বলেছেন। প্রয়োজনেই এখানেই তার চিকিৎসা করা হবে। আর আইনগত ব্যবস্থার জন্য আমার শ্বশুর সময় সুযোগ বুঝে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ