বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা ইউনিয়নের বওলা পূর্বপাড়া গ্রামে একটি কবরস্থান থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দী লাশটি খুলনার রহিমা বেগমের বলে দাবি করেছেন নিহতের ছোট মেয়ে মরিয়ম মান্নান। গতকাল শুক্রবার সকালে ফুলপুর থানায় এসে লাশের সাথে উদ্ধারকৃত কাপড় চোপড় দেখে তিনি এ দাবি করেন।
সেই লাশ নিজের মায়ের বলে দাবি করে মরিয়ম মান্নান বলেন, ২৭ দিন ধরে আমার মা নিখোঁজ। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের মাকে খুঁজছি। গত ১০ সেপ্টেম্বর ফুলপুর থানায় একটি অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে এখানে ছুটে আসি। লাশের ছবি দেখে আমার মায়ের কপাল, হাত স্পষ্ট বোঝা গেছে। আমি মনে করি মায়ের শরীর চিনতে কোনো প্রমাণ লাগে না। তারপরও আমরা অফিসিয়াল সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবো। পায়জামাটা আমার মায়ের। তবে জামাটা তাদের বাসার ভাড়াটে মহিলার বলে জানান তিনি। মায়ের লাশ শনাক্তের সময় তার বোন মনি, মাহফুজা আক্তার, আদরী আক্তার, ভাবী, চাচাতো ভাই রুম্মান হোসেন ও মরিয়মের অল্প বয়সী একজন ভাইপো থানায় উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, দ্বিতীয় স্বামী বিল্লাল হাওলাদারকে নিয়ে খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা খানাবাড়িতে থাকতেন রহিমা। গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। কিন্তু এক ঘণ্টা পরও তিনি বাসায় না ফেরায় তাঁর সন্তানেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নলকূপের পাশে তাঁদের মায়ের জুতা, ওড়না ও পানির পাত্র পড়ে থাকলেও মাকে তাঁরা খুঁজে পাননি। এ ঘটনায় ওই রাতেই রহিমা বেগমের ছেলে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন তাঁর মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পরিচয়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ ছাড়া বিষয়টি র্যাবকেও জানানো হয়। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দৌঁড়ঝাঁপ করে আসছেন সন্তানেরা। আরও জানা যায়, নিখোঁজ রহিমা খাতুনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অজ্ঞাত মহিলার লাশ সনাক্তের জন্য জনৈকা মরিয়ম আক্তার গতকাল শুক্রবার সকাল ফুলপুর থানায় এসে জব্দকৃত কাপড়-চোপড় দেখে শুধুমাত্র সেলোয়ারের রং দেখে ধারণা করছেন যে সেলোয়ারটি তার মায়ের হতে পারে এবং উক্ত লাশের ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচ করতে আগ্রহী। তবে এটাই যে মরিয়মের মায়ের লাশ তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। ডিএনএ টেস্টের পর পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।