রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অভ্যন্তরীণ ডেস্ক : সাতক্ষীরা ও নড়াইলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ৩ কর্মী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ১১৫ জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় বিদেশি পিস্তল ও জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত শিবিরের তিন কর্মীসহ ৫৯ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে সাতক্ষীরা থানা ও ডিবি পুলিশ ১৯ জন, কলারোয়া থানা ৬ জন, তালা থানা ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা ৫ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ১০ জন, দেবহাটা থানা ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের মধ্যে তিন জন জামায়াত-শিবিরের কর্মী রয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এরা হচ্ছে- শহরের ইটাগাছা এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে শিবিরের জাহিদুল ইসলাম বকুল (৩৫) ও সদরের মোচড়া গ্রামের সিরাজুল ঢালীর ছেলে শিবির কর্মী বায়েজিদ ঢালী ওরফে টুকু (২৫)। ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচর্জ (ওসি) আলী আহমেদ হাশেমী জানান, সদরের মাধবকাটি এলাকায় শিবির নেতারা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো এমন সংবাদে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল ও জিহাদী বইসহ জাহিদুল ইসলাম বকুল ও তার সহযোগী বায়েজিদকে আটক করা হয়েছে।
নড়াইল জেলা সংবাদদাতা জানান, নড়াইলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ৫৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদর থানা থেকে ১৯ জন, লোহাগড়া ২০ জন, কালিয়া ৮ জন ও নড়াগাতি থানা থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৫৬ জনের নামে নড়াইলের বিভিন্ন থানায় ও বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়িতে মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যাদের নামে মামলা ও অভিযোগ রয়েছে শুধু মাত্র তাদেরকেই অভিযানে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।