পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টার শেল এসে পড়াকে ভুলবশত বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল নিউইয়র্কের হোটেল লোটে ৭৭তম ইউএনজিএ-তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসূচি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ওই এলাকার সীমান্ত এলাকাটি খুব ক্রিসক্রসড়। কখনো কখনো সীমান্ত বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। সেই কারণে মিয়ানমারের গোলা বাংলাদেশে পড়ছে। তারা আমাদের সীমান্তের ভেতরে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলা বর্ষণ করছে না। আমাদের সীমান্তের ভেতরে যে এক-দুটি গোলা পড়েছে তা ভুলবশত পড়ছে। র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রঙ্গে তিনি বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সঠিক ও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য বাংলাদেশকে দেয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে না। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা সতর্ক থাকবে।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ পুরো সীমান্ত সিল করে দিয়েছে এবং নতুন কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা এখন খুব শক্ত অবস্থানে আছি, আমরা আমাদের সীমান্ত সিল করে দিয়েছি যাতে নতুন কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর কিছু উচ্চপদস্থ ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশকে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি। মানবাঅধিকার লংঘনের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাংলাদেশ সরকার বার বার তার কারণ জানতে চেয়েছে। কিন্তু এখনো তারা সঠিক ও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি। তাই আমরা জানি না। এ ছাড়া, বিভিন্ন দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের অভ্যাস রয়েছে। সুতরাং এটা তাদের ব্যাপার।
দেশে সন্ত্রাস দমনে র্যাবের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান হামলার পর দেশে আর কোনো সন্ত্রাসী নেই। এটাই ছিল শেষ। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করছেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।