বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। নগরীর চান্দগাঁও থানায় গত মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. মোস্তফা কামাল চৌধুরী দুলাল। নুরুল আবছার চৌধুরী নগরীর সদরঘাট থানার কদমতলী এলাকার বাসিন্দা। চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাঈনুর রহমান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় নুরুল আবছার চৌধুরীর নামে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। মামলার বাদী মোস্তফা কামাল চৌধুরী দুলাল বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মাদারবাড়িতে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের ব্যানারে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নুরুল আবছার চৌধুরী মেয়রকে তুই-তোকারি করে অশোভন ভাষায় কথা বলেন। মেয়রকে চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে যাবার জন্যও হুমকি দেন। মেয়রের বিরুদ্ধে মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় আমি মামলা দায়ের করেছি।
করদাতা সুরক্ষা পরিষদের মুখপাত্র হাসান মারুফ রুমী বলেন, সংগঠনের সভাপতি নুরুল আবছার চৌধুরী স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি সাবেক মেয়র মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনৈতিক অনুসারী। তিনি মেয়রকে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য দেননি। শুধুমাত্র চট্টগ্রামের ভাষায় কিছু কথা বলেছেন, যেগুলো ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সময়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পঞ্চবার্ষিকী কর পুনঃমূল্যায়ন করে বর্ধিত হারে গৃহকর আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’ গঠন করে আন্দোলনে নামেন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। আন্দোলনের মুখে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর পুনঃমূল্যায়নের ভিত্তিতে কর আদায় স্থগিত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব নেয়ার পর পুনঃমূল্যায়নের ভিত্তিতে গৃহকর আদায়ের ওপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে দুই দফা চিঠি দেয় চসিক। এর ভিত্তিতে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় মন্ত্রণালয়। করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতারা বলেন, মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছিলেন, গণহারে গৃহকর বাড়ানো হবে না, শুধুমাত্র করের আওতা বাড়ানো হবে।
কিন্তু সম্প্রতি পুনঃমূল্যায়নের ভিত্তিতে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় শুরু হলে নগরবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর ফলে পাঁচ বছর পর একই দাবিতে আন্দোলনে নামে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ। গলাকাটা হোল্ডিং ট্যাক্স আইন বাতিল করো-দৈর্ঘ্য-প্রস্থ গুণ করো তার ওপর কর ধরো। এই স্লােগান নিয়ে সংগঠনটি গত একমাস ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।