Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভেঙে দেয়া হলো চুল্লি

অভয়নগরে কয়লা তৈরির কারখানায় অভিযান

অভয়নগর (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

যশোরের অভয়নগরে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানার চুল্লি ভেঙ্গে দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের সোনাতলা অঞ্চলের কাঠ কয়লার ৫৮ টি চুল্লি ভেঙ্গে দেয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক থান্দার কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে। অবৈধভাবে তৈরি কাঠকয়লার চুল্লি ভেঙ্গে ফেলায় স্থানীয় জনগনের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
পরিবেশ অধিদফতরের তথ্যমতে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের অগোচরে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছিল স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা। ইতিমধ্যে কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের মাধ্যমে চুল্লিগুলো ভেঙ্গেও দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে কোন এক অদৃশ্য শক্তি নিয়ে আবার নতুন উদ্যমে শুরু করেন এই অকর্মের কাজ।
স্থানীয় ভূক্তভোগীরা জানান, এই চুল্লির কারণে ঘন বসতিপূর্ণ এ অঞ্চলের সবুজ গাছের পালাগুলো ধূসরে পরিনত হতে শুরু করেছিল। বিস্তীর্ণ সবুজ ক্ষেতের পাতা পুড়ে যাচ্ছিল। গাছের ডাল পাতা পুড়ে গেছে ধোঁয়ার বিষাক্ত বাতাসে। মারা যাচ্ছিল নদীর পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যার ফলে একদিকে বন উজাড় হচ্ছে অপরদিকে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। বৃদ্ধ, শিশু ও পরিবেশ সবই ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে পড়েছিল। অবশেষে সংবাদপত্রে ঘটনা প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর।
গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশের সহযোগিতায় ৫৮ চুল্লি ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর পরিবেশ অধিদফতরের সহকারি পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ, অভয়নগর থানার উপপরিদর্শক কমল কৃষ্ণ দাস, নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মেজবা ফকির, ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার শীল এবং আমতলা ক্যাম্প ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম সহ আমতলা ও সোনাতলা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক থান্দার কামরুজ্জামান বলেন, পরিবেশ অধিদফতর ও পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ৫৮ টি কয়লার চুল্লি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ