Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গোপালগঞ্জে পিটিআই সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জে পিটিআই সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ পরিচালনায় নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ট্রেইনিং অব মাস্টার ট্রেনারস্ ইন ইংলিশ’র (টিএমটিই) প্রশিক্ষণার্থীরা।

প্রতিবাদ করায় তদন্তের নামে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৫ শিক্ষককের ভাতা ও সার্টিফিকেট স্থাগিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। দ্রুত এসব অভিযোগের তদন্ত শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানালেও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়। গত ৫ জুন থেকে পিটিআই গোপালগঞ্জে ১৪ সপ্তাহের জন্য গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা থেকে ৪৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে চলে ১৫ সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত। এ প্রশিক্ষণ চলাকালে খাবার রিফ্রেশমেন্টের বাবদ প্রতিদিন জন প্রতি ৬৬০ টাকা বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও প্রশিক্ষণ শুরুর দিন থেকে তাদের অতি নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করে পিটিআই কর্তৃপক্ষ। সংস্থাপন বিলের নামে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে ৪৪ জনের টাকা, অডিট বাবদ ৯৭ হাজার টাকা এবং এজি অফিসে বিল পাশ করার জন্য ৪৪ হাজার টাকা দাবি করা হয়। পিটিআইতে অবস্থান করলেও শুক্র ও শনিবার বাদ হাজিরার সীট করা হয় বলে অভিযোগ প্রশিক্ষণার্থীদের।
এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৫ শিক্ষককের ভাতা ও সার্টিফেকেট স্থাগিত করে চিঠি দেয়া হয়। ওই ৫ শিক্ষককের বিরুদ্ধে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। আর এতে ৪৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ৪২ জন প্রশিক্ষণার্থীর সার্টিফিকেট ও ভাত না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দ্রুত এই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৫ শিক্ষককের সার্টিফেকেট ও ভাতা দেয়া পাশাপাশি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি প্রশিক্ষণার্থীদের। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিটিআই-এর সুপারিনটেনডেন্ট কৃষ্ণা রানী বসু। এর আগেও পিটিআই সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যাচের টিএমটিই প্রশিক্ষণার্থীরা একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ