পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানী-ওজোপাডিকো’র সাথে দেনা পাওনার দন্ধে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বরিশাল মহানগরীর রাস্তার অন্ধকারে ঢেকে আছে। রাত ৮টায় দোকানপাট বন্ধের পরে গোটা বরিশাল মহানগরীতে এক ভূতুরে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর নিরাপত্তা নিয়েও যথেষ্ট উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নগর ভবন ও ওজোপাডিকো’র তরফ থেকে কিছুটা পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

সিটি করপোরেশনের স্ট্রিট লাইট শাখার দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে, বকেয়া ৫০ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় অতি সম্প্রতি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধের পরেও রাস্তার বাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ওজোপাডিকো। বিষয়টিকে অমানবিক ও জনস্বার্থ বিরোধী বলেও মনে করছেন নগর ভবনের দায়িত্বশীল মহল। এব্যাপারে সিটি মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

তবে এব্যাপারে ওজোপাডিকো’র তত্ববধায়ক প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইতোপূর্বে বরিশাল সিটি করেপারেশনের কাছে বকেয়া প্রায় ৮০ কোটি পরিশোধে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির পরে নগর ভবন থেকে ৭৯ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরে বকেয়া আদায়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের পরেও সিটি করপোরেশনের প্রায় ৬৫টি সংযোগের মধ্যে রাস্তার বাতির মাত্র ১৫টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সিটি করপোরেশন নগরীর সব রাস্তার বাতি বন্ধ রেখেছে বলে দাবী করেন ওজোপাডিকো’র কর্মকর্তাগন।

প্রতিমাসে বরিশাল সিটি করপোরেশনের রাস্তার বাতি ও পানির পাম্প সহ বিভিন্ন সংযোগের বিপরীতে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার বিল করা হয়ে থাকে। তবে গত প্রায় ৫ বছরে নগর ভবন থেকে ওজোপডিকো’র হোল্ডিং ট্যাক্স ও বিভিন্ন দাবী সমন্বয় সহ প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার মত পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে বকেয়ার পরিমাণ প্রতিমাসেই বেড়ে এখন প্রায় ৮০ কোটির কাছে পৌঁছেছে।

রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গোটা বরিশাল মহানগরীর রাস্তাঘাট ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢেকে আছে। ফলে নিরাপত্তা নিয়েও নগরবাসীর মধ্যে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ গোটা নগরীতে নজরদারী ও টহল জোরদার করেছে।