Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বান্দরবানে ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা : পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান থেকে : | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

 বান্দরবানে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপরাধের সাক্ষ্য প্রমাণ অপসারণ করায় আসামিদের সাত বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদÐের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বান্দরবানের জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভ‚ঁইয়া এ রায় দেন।
দÐপ্রাপ্তরা হলেন- বান্দরবান সদর উপজেলার লুলাইন হেডম্যানপাড়ার বাসিন্দা রে অং মারমার ছেলে উচিংনু মার্মা, মংনুমং মারমার ছেলে উবা চিং মার্মা, থোয়াইচিং মারমার ছেলে চিং নু মং ওরফে হদা, মৃত ক্য হ্লা প্রæ মারমার ছেলে মং নু মং ওরফে মং নু এবং সদর উপজেলার লুলাইন পুর্নবাসন পাড়ার বাসিন্দা কুনাক মারমার ছেলে মং থু ওরফে মং ক্যাসিং। রায় ঘোষণার সময় দÐপ্রাপ্ত চিং নু মং ওরফে হদা ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, নিহত ছোট্ট মিয়া চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার দিয়াকুল এলাকার মৃত আনু মিয়ার ছেলে। ছোট্ট মিয়া এজাহারের প্রধান আসামি গরু ব্যবসায়ী উচিংনু মার্মার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা বায়না দিয়ে একটি গরু কেনেন।
পরে ভিকটিম কেনা গরু আনার জন্য বাকি টাকা নিয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন হানসামাপাড়া বাজারে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় বান্দরবান পৌরসভার মধ্যমপাড়া থেকে পুলিশ আসামি উচিংনু মার্মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, অপর আসামিদের সহযোগিতায় দা দিয়ে ভিকটিম ছোট্ট মিয়ার গলা কেটে হত্যা করে এবং ভিকটিমের লাশ ৩৪৮ নম্বর হ্লাপাইক্ষ্যং মৌজস্থা সারাম্রং ঝিরিমুখে মংজহ্লী মার্মার বাঁশবাগানে মাটিচাপা দেয়। এ ছাড়া গরু বিক্রির পাওনা ১২ হাজার টাকাও আত্মসাৎ করেন।
পরে ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আসামি উচিংনু মার্মার তথ্য অনুযায়ী পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে ভিকটিম ছোট্ট মিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় একই দিন ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করে। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর এ রায় দেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ