রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে স্থানীয় সরকার বিভাগের তালিকা ভুক্ত (আইআরআইডিপি৩-৩১২২) বারইখালী ইউনিয়নের মোরেলগঞ্জ বহরবুনিয়া সংযোগ সড়কের বারইখালী ফেরিঘাট থেকে বহরবুনিয়া ইউনিয়নে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বারইখালী-বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষ। এদের প্রশ্ন এই ভোগান্তি আর কতদিন? এই রাস্তাটি দুটি ইউনিয়নের একটি সীমান্তবর্তী রাস্তা। প্রায় ২ কিলোমিটার এই রাস্তাটি গত ১৫ বছরের মধ্যে কোনো প্রকার সংস্কার করা হয়নি। ২০০৭ সালে সিডরে এই রাস্তাটি বিদ্ধস্ত হওয়ার পরবর্তী বছর জাইকার অর্থায়নে এই রাস্তাটি এইচবিবি থেকে কার্পেটিং করা হয়েছিল। ২০০৭ সালের পর থেকে রাস্তাটি একবারের জন্যেও সংস্কার করা হয়নি, ফলে এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র রাস্তাটি একখন জনভোগান্তির চরম রূপ ধারণ করেছে। এই রাস্তা দিয়ে বহরবুনিয়া-বারইখালী ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। এসব গ্রামের সাধারণ মানুষের চলাচলের বিকল্প রাস্তা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মালবাহী ভ্যানসহ অসংখ্য যাবহন চলাচল করছে প্রতিনিয়ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার মধ্যে পিচঢালাই-এর কোন প্রকার অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি। নদী ভাঙন কবলিত এই রাস্তাটির কিছু কিছু স্থানে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত হয়ে যেন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। ভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ভটভটি, ট্রলিসহ নানা যানবহন প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রাস্তাতে গাড়ি চালাতে অনেক বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পরতে হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চালকরা। স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে তাদের মধ্যে অনেকেই বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প গ্রামাঞ্চলে রাস্তা পাকাকরণ হলেও আজও এই রাস্তাটি পাকাকরণ হয়নি। নদী ভাঙন কবলিত গ্রাম হওয়ার কারণে আজও লাগেনি উন্নয়নের ছোয়া। বর্ষা মৌসুমে কৃষিপণ্য এই রাস্তাটি দিয়ে বাজারজাত করা সম্ভব হয় না, যার ফলে পিছিয়ে পড়েছে এই এলাকার জীবনমান উন্নয়ন। কেহ অসুস্থ হলে বা কারো প্রসব যন্ত্রনা উঠরে যথাসময় ক্লিনিক বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এদিকে এই এলাকাটিতে রয়েছে কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাস্তাটি বেহাল দশার কারনে শিক্ষার্থীরা যথা সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না।
বারইখালী গ্রামের বাসিন্দা মেহেদী হাসান জিমি, আরিফ তালুকদার, আলী আকবরসহ আরও অনেকে বলেন আমরা পুরোপুরি অসহায়। এই রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারনে কাজ শুরু হচ্ছে না। অল্প বৃষ্টি পরলেই রাস্তাটি দিয়ে গাড়ি চলাতো দূরের কথা হেটে যাওয়াই কঠিন হয়ে যায়। জানিনা কতদিন আমাদের এই ভোগান্তি সহ্য করতে হবে।
এ বিষয়ে বারইখালী ইউপি চেয়ারম্যান আউয়াল খান মহারাজ বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে স্থানীয় এমপি’র সাথে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের কাজটি খুব দ্রুতই শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি এই উপজেলায় যোগদানের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় নতুন রাস্তা নির্মাণ, সংস্কারে বেশ কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করেছিলাম। তার মধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, অনেক রাস্তার কাজ নিমানার্ধীন। পানগুছি নদীর পাড়ে বারইখালী-বহরবুনিয়া এই সড়কটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একটি। নদী ভাঙন ও অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারনে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাস্তাটি নতুন করে কার্পেটিং করার জন্য মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করি রাস্তাটি খুব দ্রুত ট্রেন্ডারের আওতায় আনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।