রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বালু মহাল না হলেও টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নে ঝিনাই নদী থেকে অবৈধভাবেই বালু উত্তোলনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বানের পানিতে ভরা নদীতেও বসানো হয়েছে ড্রেজার, প্রস্তুত হয়েছে বালু সরবরাহের পাইপলাইন। এর ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে নদীভাঙন আতঙ্ক। বালু মহাল বন্ধের জন্য ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটি এ ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদনও জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, থই থই করছে ঝিনাই নদীর পানি। নদীর দু’পাশের অনেক গ্রামে এখনো রয়েছে পানি। নিমজ্জিত রয়েছে সব আবাদী জমিও। এ অবস্থার মধ্যেও নদীর পাড়ে আনা হয়েছে ড্রেজার মেশিন। সম্পন্ন করা হয়েছে বালু উত্তোলনের সব আয়োজন। রাতের আঁধারে একটি পাইপ লাইন ঝিনাই নদীর পাড় দিয়ে শুরু করে টাঙ্গাইল-বাসাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি কোম্পানির জায়গায়। এদিকে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পাঁয়তারা করছে বলে জানান নদীপাড়ের অসহায় মানুষগুলো।
কাশিল ইউনিয়নের ঝিনাই নদীর তীরবর্তী এলাকার ভোক্তভোগী ও ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী রুশন খান, হুমায়ন খান, রাজ্জাক, কহিনুর, আজিজ খান, ছমেলা বেগম, কাদের খান, মধু খান ও ওমর খান জানায়, আমাদের বাড়ির পাশে নদীতে আনা হয়েছে ড্রেজার। এখান থেকে বালু তোলা শুরু হলেই আমাদের বাড়িঘর ও জমিজমা ধসে যাবে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি বাদল নামের এক ব্যক্তি এই বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার এনেছে। রাতের আঘাঁরে একটি পাইপ লাইনও প্রস্তুত করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে অনেক ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
জানা যায়, বাসাইল উপজেলার দাপনাজোর, নথ খোলা ও কাশিল গ্রামের প্রায় ৮০ভাগ মানুষ কৃষিনির্ভর। ঝিনাই নদীকে কেন্দ্র করে গ্রামগুলোর হাজার হাজার মানুষের ঘর-বাড়ি, মসজিদ, মাদরাসা, গোরস্থান, সরকারি প্রাইমারী স্কুল, হাইস্কুল, শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ, নদীর উপর তিনটি সেতু, কালর্ভাট, খেলার মাঠ, হাট-বাজার গড়ে উঠে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নথখোলা নদীর ঐতিহাসিক অবদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সর্বজন বিদিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এ নদীকে ঘিরে এলাকার মানুষ নবউদ্যমে উন্নয়নের বহমান স্রোতধারায় সমৃদ্ধ হতে থাকে। কিন্তু প্রভাবশালী কিছু মানুষের কারনে অভিশাপে পরিনত হয়েছে। বছরের পর বছর অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের তান্ডবে দাপনাজোর সেতু ও কাশিল সেতুটি ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও নথখোলা সেতুর দু’পাশে অবৈধ ড্রেজার ও শুস্ক মৌসুমে ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে সেতু এবং সেতু সংলগ্ন প্রাইমারী স্কুল, শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙনের কবলে পড়েছে। ইতিমধ্যে নদী পাড়ের অনেক বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও এলাকাবাসী তাদের ঘর-বাড়ি, জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনও করেছে। তারপরও কোন লাভ হচ্ছে না।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে খুবই তৎপর। নদী থেকে কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে পারবে না। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।