Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিলমারীতে পাচারের সময় ৫০বস্তা ইউরিয়া সার আটক

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২:৫৬ পিএম

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পাচারকালে ৫০বস্তা ইউরিয়া সার আটক করেছে স্থানীয় জনতা। সোমবার রাতে উপজেলা সদর থেকে পাশ্ববর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পাচার করার সময় উপজেলার খরখরিয়া তেলিপাড়া এলাকায় রাস্তা থেকে সারের বস্তা ভর্তি পিকআপ ভ্যান আটক করে তারা।
স্থানীয়রা জানায়,ইউরিয়া সার বেশী দামে বিক্রির জন্য পাশ্ববর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পাচার হয়ে যাচ্ছিল। সোমবার রাত ৯টার দিকে রমনা ইউনিয়নের খরখরিয়া তেলিপাড়া এলাকায় পিকআপ ভর্তি ৫০বস্তা সার নদীর ঘাটে যাওয়ার পথে স্থানীয়রা পিকআপটি আটক করে। এসময় চালক সার ক্রয়ের ম্যামো দেখাতে না পাড়ায় এবং ক্রেতার নাম প্রকাশ না করায় উপজেলা কৃষি অফিসার ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে কেহ ওই সারের মালিকানা দাবী করেনি। উপজেলা কৃষি অফিসার ঘটনা স্থলে গেলে স্থানীয়রা তাদের মাঝে সার বিলি করার দাবীতে হৈচৈ শুরু করে। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় সার ভর্তি পিকআপটি চিলমারী থানায় জব্দ করা হয়।
স্থানীয় ছক্কু মিয়া,এরশাদুল হক,আব্দুস সালাম,মোকছেদ আলীসহ অনেকে জানান,বেশী দামে ইউরিয়া সার বিক্রির জন্য প্রতিদিন এই পথে নৌকা যোগে সার সুন্দরগঞ্জে চলে যায়। ১,১০০ টাকা দরের বস্তা ওই পারে ১৪/১৫শ টাকায় বিক্রি করে ডিলাররা। আনোয়ার হোসেন,জিয়াউর রহমান,আসাদুল হকসহ অনেকে জানান,জমি আবাদ করে আমরা জমিতে সার দিতে পাচ্ছি না,ডিলারদের ঘরে ইউরিয়া নিতে গেলে বলে সার নাই। কখনো কখনো নষ্ট সার নিতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষান দাস জানান, খবর পেয়ে রাতের আঁধারে পাচার হয়ে যাওয়া সার আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। যেহেতু সারের মালিক নেই তাই সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সার বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা করা হবে। তাছাড়া আটককৃৃত সার চিলমারীর কোন ডিলারের নয় এবং চিলমারীতে মনিটরিং অব্যহত থাকায় সার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আতিকুর রহমান জানান,পাচার হয়ে যাওয়া সার কৃষি অফিসার জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে রেখেছেন। তিনি যে প্রক্রিয়ায় যাবেন আমরা সেভাবেই আইনি সহায়তা দিব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান জানান,আটককৃত ইউরিয়া সার স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ