বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : সমাজে প্রতিনিয়তই নারীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন পুরুষদের দ্বারা। প্রচলিত নানা প্রথা, অনুশাসন, রীতি-নীতির দ্বারা নারী-পুরুষের পার্থক্য তৈরি ও বৈষম্য করা হচ্ছে। সমাজ নারীকে দেখছে যৌনযন্ত্র বা ভোগ্য-বস্তু হিসেবে। যে পুরুষকে ঘরের মাঝে নারী তার আপন মমতায় লালন করে, রাস্তায় বের হলে সেই সমজাতীয় অন্য কোনো পুরুষ দ্বারা নারী শিকার হয় লাঞ্ছনার। আমাদের সবার আগে নিজেকে মানুষ ভাবতে হবে তারপর নারী-পুরুষ তারপর ধর্ম নিয়ে পরিচয় দিতে হবে, কিন্তু আমরা তা ভুলে যাই। ফলে নারীরা কখনো সমাজে নিরাপদ বোধ করতে পারে না। অধিকাংশ নারী নির্যাতনের বিচার হয় না বিভিন্ন প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন ব্যক্তির হস্তক্ষেপে, প্রশাসন এক্ষেত্রে দুর্বলতার পরিচয় দেয়। তনু হত্যার বিচার যে গতিতে অগ্রসর হচ্ছে তা নিয়েও আমরা সন্দিহান। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়শা খানম। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও প্রকৌশলী আসাদৌল্লাহ আল সায়েম।
মালেকা বানু বলেন, নারী হয়ে জন্মানোই কি একজন নারীর অপরাধ? সমাজে নানা পন্থায় বিরাজমান বৈষম্যের ফলস্বরূপ এসব নারী নির্যাতন ঘটছে। অথচ সংবিধানে নারীর পূর্ণ সুরক্ষার কথা বলা থাকলেও তার বস্তবায়ন হচ্ছে না কোনো ক্ষেত্রেই। নানা অনুশাসনের নামে নারীর মতামত, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও অধিকারকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আমাদের সর্বপ্রথম এইসব অনুশাসন ও প্রথার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। সরকারকে বাল্য বিবাহ আইনের বিশেষ শর্ত বাতিল করতে হবে। হাসান আরিফ বলেন, নারীদের জন্য দিন ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টায় আটকে যাচ্ছে নানা নিরাপত্তা ও সহিংসতার অজুহাতে। আমাদের এইসব সহিংসতা রোধ করতে হবে যাতে নারী তার সময়ের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারে। গোলাম কুদ্দুস বলেন, নারীর স্বার্থ রক্ষায় আমাদের সমাজের সর্বস্তরে নারী স্বাধীনতার মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আসাদৌল্লাহ আল সায়েম বলেন, প্রত্যেক দেশই আইনের মাধ্যমে নারী অধিকার সুরক্ষার ব্যবস্থা করা আছে কিন্তু যতক্ষণ না এটি সমাজে বাস্তবায়িত হচ্ছে সে ক্ষেত্রে এর কোনো সুফল আমরা পাব না। নারীকে অর্থনৈতিক মূল কর্মক্ষেত্রে না নিয়ে আসতে পারলে আমরা আমাদের সাস্টেনেইবল ডেভলপমেন্ট অর্জন করতে পারব না। সমাবেশে মহিলা পরিষদের পক্ষে প্রস্তাবনা পাঠ করেন সংগঠনের তরুণ কর্মী হালিমাতুস সাদিয়া। সমাবেশ শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট দীপ্তি সিকদার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন আবুল ফারাহ পলাশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।