বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোন মতে থামানো যাচ্ছে না গুলি ও মর্টার শেল। যেন গায়ে পড়ে ঝগড়া। সীমান্তের মানুষেরা চরম আতংকে দিন পার করছে অসহায়ত্বে। আজ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে একাধিক মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমারের আগ্রাসী সেনা সদস্যরা। এতে কেঁপে উঠেছে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ ঘুমধুমের আশপাশের ১২টি পাড়া। তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রহমান , গ্রাম পুলিশ সদস্য আবদুল জাব্বার, রোহিঙ্গা আবদুস ছালাম, দক্ষিণ চাকঢালার ফরিদ আলম ও জাফর আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তারা বলেন, রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে একাধিক মর্টার শেলের প্রকট আওয়াজে ঘুম ভাঙে আশপাশের তুমব্রু, কোনারপাড়া, বাইশফাঁড়ি, তুমব্রু হেডম্যানপাড়া, ভাজাবুনিয়া, মধ্যমপাড়া, উত্তরপাড়া, বাজার পাড়া, গর্জনবুনিয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকঢালা, সাপমারা ঝিরি ও জামছড়িসহ ১২ পাড়ার মানুষের। প্রতিনিয়ত তারা মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
এদিকে আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি ও পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম।
ডিসি ও এস পি গণমাধ্যম কে জানান, তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে এটা সময়সাপেক্ষ বিষয়।
তারা আরও বলেন, সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের কীভাবে নিরাপদে রাখা যায় সে ব্যাপারে পরিদর্শন শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা যাতে আতঙ্কিত না হয়, সেজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশে থেকে উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সকালে বান্দরবান সদর থেকে প্রথমে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। এরপর নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ডিসি ও এসপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস, ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্টু কুমার সাহা প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার জনবসতিতে দুটি মর্টারশেল এসে পড়ে। এতে কেউ হতাহত না হলেও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিস্ফোরণে কম্পিত হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু ও বাইশফারিসহ কয়েকটি সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম। এতে চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়া মাইন বিস্ফোরণ ও মর্টারশেলে ১ জন নিহত এবং এক জনের পা উড়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।