Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইবি ভিসির পিএস’র অফিস ভাংচুর, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ

ইবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:৪৮ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভিসির পিএস'র অফিস ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আন্নুর জায়েদ বিপ্লবকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন।

এদিকে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার নিরাপত্তা চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপাচার্যের পিএস উপ-রেজিস্ট্রার আইয়ুব আলী ও সহকারী-রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান মোল্লা।

অভিযোগপত্র সূত্রে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে খাওয়া শেষে অফিসে ফাইলের কাজ করছিলেন ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী। এ সময় টিটু মিজান ও রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে প্রায় ১৫-২০ জন বহিরাগত তাদের উপর চড়াও হয়ে দু'জনকে দুই রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় আইয়ুব আলীর রুম ভাংচুর করে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি তছনছ করে দেয়। এছাড়া অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে তাকে রুম থেকে বের করে দেয়

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভিসির কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও ক্যামেরার হার্ডডিস্ক অচল থাকায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো ফুটেজ রেকর্ড হয়নি।

জানা যায়, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি টিটু মিজান ও রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে প্রায় ১৫-২০ জন কর্মচারী মিলে ভিসির পিএস'র কক্ষে যান। সেখানে অবস্থানরত পিএসকে আটকে রাখা ফাইলের বিষয়ে জানতে চায়। এসময় ফাইল সম্পর্কে কিছু জানেনা বললে পিএস আইয়ুব আলীর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা অফিসের চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে টেবিলে রাখা গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ফেলে দেয়। এছাড়াও তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। পরে ভুক্তভোগী কয়েকজনের সহযোগিতায় কক্ষ থেকে বের হয়ে রেজিস্ট্রারের কক্ষে আশ্রয় নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক সাহেদ আহমদ বলেন, পিএসের অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিলো, তাই ঘটনার কোনো ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায় নি। পরে ক্যামেরা চালু করলে দেখা যায় ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নষ্ট।

মামলা দায়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আন্নুর জায়েদ বিপ্লব বলেন, আমরা কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ