বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনসাধারণ ও পথচারীদের মাঝে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ভুলতা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঘটে এ সংঘর্ষের ঘটনা।
এদিকে, গতকাল রোববার ফের বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ কর্মসূচী করবে এমন সংবাদে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও মহিলালীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি পয়েন্টে অবস্থান নেন। এসময় তারা প্রতিটি স্পটে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্র জানায়, বিদ্যুতের লোডশেডিং, জ্বালানি মূল্যে বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের মুল্যে বৃদ্ধি, গণপরিবহনের ভাড়া মূল্যে বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী নিহতের প্রতিবাদে ও খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভোটবিহীন সরকারের পদত্যাগ দাবিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মশাল মিছিল বের করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বলাইখা থেকে ভুলতা বাসষ্টেশনের দিকে আসতেছিলো। এসময় মিছিলকারীরা সরকার বিরোধী বিভিনড়ব ধরনের স্লােগান দেন। যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে উভয় পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এক পর্যায়ে যুবলীগের ধাওয়ায় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন, ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমান, অনিক, মাসুম মিয়া, জাহিদ হাসান হৃদয়, অন্তর, মাসুদুর রহমানের সাহাবুদ্দিন ও রেহানাকে বিভিনড়ব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমানের দাবি, তারা শান্তিপুর্ণভাবে মিছিল করাকালে অতর্কিত হামলা করে যুবলীগ নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের আহতের ঘটনা ঘটায়। এছাড়া যুবদল নেতা নুরুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়। এসময় ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে উপজেলার বিভিনড়ব এলাকা থেকে দলবেঁধে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এসময় তাৎক্ষনিক নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা গোলচত্বর এলাকায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্যে রাখেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আরিফুল হক ভুইয়া, যুবলীগ নেতা আলামিন, আব্দুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান সবুজসহ আরো অনেকে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান সবুজ বলেন, ছাত্রদলের ক্যাডাররা মশাল মিছিল বের করে যানবাহনে অগিড়বসংযোগ করবে তা হতে দেয়া হবে না। যেখানেই তাদের দেখবো, সেখানেই প্রতিহত করা হবে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন বলেন, বিএনপি-জামাত আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এলাকাকে অশান্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। মানুষের জানমাল রক্ষায় আমরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছি। এ ব্যপারে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মাহাফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ন মিছিলে যুবলীগের অতর্কিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। মামলা-হামলা দিয়ে বিএনপিকে দমাতে পারবেনা ইনশায়াল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জয় হবেই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।