Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী

সেমিনারে রাসিক মেয়র লিটন

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

 বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গতকাল রোববার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার বৈশ্বিক ভাবমূর্তি প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের ভেতরে যে ঘটনাগুলো ঘটছে। এটি তাদের বিষয় হলেও আমাদের কথা বলতে হচ্ছে, এই কারণে যে সেটি আমাদেরকেও ক্ষতিগ্রস্থ করছে। আমরা জানি, মায়ানমার থেকে ১২ লাখ মানুষ বাংলাদেশে এসেছে, সেটি সংখ্যায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে। তারা বিয়ে করছে, তাদের সন্তান হচ্ছে। তাদেরকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাসানচরে চমৎকার পরিবেশে প্রায় ১ লাখ মানুষের থাকবার মতো করে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন।
মেয়র বলেন, উন্নত বিশ্ব বিশেষ করে ইতালি, গ্রিস অথবা ফ্রান্স-এসব দেশে যখন ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে নানা দেশের মানুষ বিভিন্নভাবে চোরাই পথে প্রবেশ করতে যায়, তখন তারা হয় ডুবে মারা যায়, না হলে ধরা পড়ে যায়। ধরা পড়লে তাদের উপরে অবর্ণনীয় যন্ত্রনা-কষ্ট নেমে আসে। তাদের মতো উন্নত দেশও কিন্তু পাঁচশ, হাজার বা ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিতে চায় না, অস্বীকার করে। অথচ আমাদের দেশে প্রায় ১২ লাখ মানুষ চলে এসেছে, আরো বাড়ছে।
রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে উন্নত বিশ্বের তাদের যে বক্তব্য, যে কর্মকাণ্ড আমরা খুব একটা কার্যকরী হতে দেখছি না। আমরা জানি যে, জাতিসংঘ কিছু তৎপরতা চালিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের যেখানে গেছেন, সেখানেই এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং সবাই বলেছেন, আমরা আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা চেষ্টা করবো, আমরা বলছি, আমরা চাপ সৃষ্টি করছি। কিন্তু এই পর্যন্ত কাউকে আমরা সেই রকম জায়গায় যেতে দেখিনি।
তিনি বলেন, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে কেন আরো সোচ্চার হচ্ছেন না? শুধু লোক দেখানো একদিন বাংলাদেশ এলেন। বাংলাদেশে এসে কক্সবাজারে গেলেন। সরকার আপনাদের সমস্ত ব্যবস্থা করলো থাকবার, খাবার, নিরাপত্তা, ঘুরবার। আপনারা সাক্ষাৎকার নিলেন, সেখান থেকে ঢাকায় ঘুরে এসে বললেন যে, আমরা দেখে এলাম, আমরা এটি যথাযথ জায়গায় তুলব এবং আমরা আরো চাপ প্রয়োগ করবো। এটা কোন চাপ? যে চাপে কোন কাজ হচ্ছে না। আমার প্রশ্ন থাকলো। আমরা সবাই বলি গোটা পৃথিবী একটা গ্লোবাল ভিলেজ। ওইখানে একটা কিছু হলে এখানে অনুভব করা যায়। কাজেই একটা যদি সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকে যে, না এইটা চলতে দেয়া যায় না। তাহলে মায়ানমারের পক্ষে এটা স্ট্যান্ড করা খুব একটা বেশি সম্ভব নয়। এখানেই ফাঁক আছে। কেউ কেউ আমাদের সামনে হয়তো বলছেন, কিন্তু মন থেকে বলছেন না, সেটা করছেন না।
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, রবীন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ আজম, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলামভ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক ও কলাম লেখক ব্রি. জে. (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ