বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ইউসুফ গাজী প্রতারণার মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামী। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
যাচাই-বাছাইকালে জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন জানান সদ্য পদত্যাগী চাঁদপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী ওচমান গনি পাটওয়ারী।
গতকাল রোববার বিকেলে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং অফিসার। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ওই চেয়ারম্যানপ্রার্থী চাইলে মনোনয়নপত্র বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আগামী তিন দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। জানা গেছে, ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে কাঠ সরবরাহের যৌথ ব্যবসার প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ইউসুফ গাজীর বিরুদ্ধে ২০০৪ খুলনার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন স্থানীয় হুমায়ুন কবির। এ মামলায় বিচারিক আদালত আসামীকে খালাসের রায় দিলেও ২০০৮ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে খুলনা দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন বাদি। আপিল শুনানী শেষে ইউসুফ গাজীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগকারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওচমান গনি পাটওয়ারী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, যেহেতু আসামী আপীল আদালতের রায় অনুযায়ী আত্মসমর্পণ না করে পলাতক থাকে এবং তার রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তির মাধ্যমে সাজা পরোয়ানা জারি করতে দেননি। তাই তিনি বর্তমানে আইনের চোখে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হিসেবে চিহ্নিত।
অভিযোগে বলা হয়, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ এর ৬(২)ঘ ধারা অনুযায়ী ‘নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধের কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয়ে অনুন্য দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার যোগ্য হবেন না।’ এ অবস্থায় তার নির্বাচনী মনোনয়নপত্র বাতিলযোগ্য এবং তিনি নির্বাচন করার অযোগ্য।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব ইউসুফ গাজীর মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।