বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা সংবাদিক ইউনিটির সভাপতি ও ডেইলি অবজারভার, দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার রামগতি প্রতিনিধি রিয়াজ মাহমুদ বিনুকে উদ্যেশ্য করে রামগতি থানার ওসি আলমগীর হোসেন তার মুঠোফোন থেকে দম্ভোক্তির স্বরে বলেন,আপনি থানায় আসবেন না। আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । গত ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখে ওসি তার নিজের মুঠোফোন থেকে এ হুমকি দেন। এতে রামগতি সহ জেলার মুল ধারার সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
ওসির সাথে সাংবাদিক বিনুর কথোপকথনের একটি অডিও ক্লীপ ইতোমধ্যে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি এখন টক অব দ্যা রামগতি। ভাইরাল হওয়া ওই অডিও ক্লীপে ওসি আলমগীর হোসেন বলেন,যদি প্রমাণ করতে পারেন সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রমাণ করতে না পারলে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ভাইস্যা আসছি? রংপুর থেকে আসছি? এসব ফাইজলামি বাদ দেন।আপনি আর থানায় আসবেন না!
এ ঘটনায় উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক এক বৈঠকে বসলে সাংবাদিক
বিনু জানান,গত ১১ সেপ্টেম্বর রামগতির চরপোড়াগাছা ইউনিয়ন থেকে অস্ত্র সহ ইব্রাহিম নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার সকল সাংবাদিকরা এক যুগে সংবাদ কাভার করেছেন। কিন্তু ঘটনার দুই দিন পর ইব্রাহিমের পরিবার তাকে অস্র দিয়ে পাষানোর অভিযোগ তুলে রামগতি উপজেলা সাংবাদিক ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য আসেন। এ খবর পেয়ে রামগতি থানার ওসি আলমগীর হোসেন ইউনিটির সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ বিনুর মুঠোফোনে কল করেণ। কথোপকথনের এক পর্যায়ে ওসি বলেন,আপনি পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেণ? ফাইজলামি পাইছেন? ঘটনার সত্যতা প্রমান করতে না পারলে আপনার বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো। আপনি আর থানায় আসবেননা।
এদিকে ওসির এমন দম্ভোক্তিতে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ওসির এমন অসদাচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকরা বলেন,জনগনের সেবক হয়ে একজন ওসি এমন আচারণ করতে পারেননা। একজন সাংবাদিক নেতার সাথে তার আচারণ এমন হলে সাধারণ মানুষের সাথে তিনি কেমন কেমণ আচরণ করেণ। সে প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে। যে কোন ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন স্বাভাবিক ঘটনা। এ নিয়ে ওসির এমন হস্তক্ষেপ মোটেই কাম্য নয়। এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে রামগতি থানায় যোগদানের আগে ওসি আলমগীর কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ছিলেন। পরবর্তীতে ওসি হয়ে তিনি রামগতি থানায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছে। এছাড়াও রামগতির বিভিন্ন মাছঘাট ও সিএনজি স্টেশন থেকে সোর্সের মাধ্যমে পুলিশের নাম করে চাঁদা তোলার বিষয়টি নিয়েও রয়েছে গুঞ্জন।
এবিষয়ে সাংবাদিক রিয়াজ মাহমুদ বিনু বলেন,যে কোন ব্যক্তি বা দল আমাদের অফিসে সংবাদ সম্মেলন করতেই পারেন। ওসি সাহেব এতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকদের (ইব্রাহিমের পরিবার) কিছু না বলে উল্টো আমার উপর চড়াও হয়েছেন তিনি।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন,সাংবাদিক বিনু সাহেবের বাড়ী থানার পাশে হওয়ায় আমার সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই আবেগের সাথে তাকে আমি দু-চারটি কথা বলেছি। এখন আমার কথাগুলো আপনারা সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছেন। আমার কিছু বলার নেই।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, বিষয়টি দু:খজনক। পুলিশের সাথে সাংবাদিকদের সম্পর্ক থাকবে ভাল। দু-একজন পুলিশের আচারণে আপনারা মন খারাপ করবেননা। এ বিষয়ে আমি খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।