পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো দালাল মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, হাসপাতালের আশেপাশে থেকে দালালমুক্ত করতে হবে। দালাল হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করে। দালালরা নানান কথা বলে রোগীদের আশেপাশের ক্লিনিকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। দালালদের আপনারা কঠিন হাতে দমন করবেন।
গতকাল শনিবার রাজধানীর হোঁটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি যারা টিকা গ্রহণ করেননি তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহণের পরামর্শ দেন। ১১ অক্টোবর সারা দেশে শিশুদের করোনা টিকা দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।
রোগীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দানের কথা উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বাজেট। অথচ আমরা যে রকম সেবা চাচ্ছি, এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে, সামান্য কিছু কাজে আমাদের বদনাম হবে, সুনাম নষ্ট হবে এটা আমরা আর সহ্য করবো না।
সারা দেশের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত জেলা সিভিল সার্জনদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, যারা কাজ করবেন, তাদের আপনারা সহযোগিতা, প্রশংসা করবেন, পুরস্কৃত করবেন। আর যারা কাজ করবে না, তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। হাসপাতালে ডাক্তার নার্সসহ সকলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তার-নার্সদের উপস্থিতি ছাড়া হাসপাতাল একটা বিল্ডিং আর যন্ত্রপাতি ছাড়া কিছুই না। হাসপাতালের আশেপাশে থেকে দালালমুক্ত করতে হবে। দালাল হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করে। দালালরা নানান কথা বলে রোগীদের আশেপাশের ক্লিনিকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। দালালদের আপনারা কঠিন হাতে দমন করবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের হাসপাতালের এক্সরে মেশিন, আলটাসনোগ্রাম মেশিনসহ অন্যান্য মেশিন ঠিক আছে কি-না, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। সরকারি হাসপাতালের রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা যেন হাসপাতালেই হয়, বাইরে যেন, না যেতে হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন, যেসব ক্লিনিক হাসপাতাল গড়ে উঠেছে, যন্ত্রপাতি এবং সঠিক জনবল নেই, তাদের সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। অনুমোদন ছাড়া কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক চলতে দেওয়া হবে না। সেটা বন্ধ করে দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। অনুমোদনহীন ক্লিনিক-হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার পর আবার যেন দুইদিন পর অনুমোদন ছাড়াই চালু না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি, হাসপাতালগুলোতে অনেক বেশি ভিজিটর আসেন। একজন রোগীর চার পাঁচজন ভিজিটর চলে আসেন। আবার প্রতিটা রোগীর সঙ্গে একজন অ্যাটেনডেন্ট থাকেন। হাসপাতালে ভিজিটর কন্ট্রোল করতে হবে। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ কন্ট্রোল করতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশের হাসপাতালে সময়ের আগে কোনো ভিজিটর অ্যালাও করে না, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বা আনওয়ান্টেড পিপল এলাও করে না। এটাও আপনাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মো আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।