পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মুখ থেকে সরাসরি বর্ণনার মাধ্যমে ডিজিটাল ভিডিও সংগ্রশালা তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন কাহিনী বা গল্প ভিডিওর মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়াই এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছে অপারেটরটি। মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলো যেনো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মনে গেথে থাকে সে উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় গ্রামীণফোন এ উদ্যোগ নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রামীণফোন তাদের এই উদ্যোগের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ ছাড়া অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিটার বি. ফারবার্গ, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান এবং মন্ত্রণালয় ও গ্রামীণফোনের কর্মকর্তাগণ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছরে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা হারিয়ে গেছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার সাথে সাথে তার বীরত্বগাথার কথাও হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম এসব যুদ্ধক্ষেত্রের গৌরবময় সত্য গল্পগুলো থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথে। বেশ কয়েকটি তরুণ দল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সারাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে যেখানে আছেন, সেখানে গিয়ে তাদের মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্পগুলো ভিডিও করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। আলাদাভাবে সংগৃহীত সব মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিকথা ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে। পরে সবগুলো ভিডিও একত্রিত করে অনলাইন ভিডিও সংগ্রহশালা তৈরি করবে গ্রামীণফোন। যেখানে ফুটিয়ে তোলা হবে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন। গল্প সংগ্রহ করতে দেশের ৬৪টি জেলায় মোট ২০টি দল একযোগে কাজ করবে। দলগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে নিয়ে আসবে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা করছিলাম। গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ ভিডিও লাইব্রেরি তৈরির কাজটি শুরু করায়। আমি আশা করব, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তুলে ধরতে গ্রামীণফোনের মতো এগিয়ে আসবে।’
‘একাত্তরের কথা’ শীর্ষক এই উদ্যোগটি আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামি তিন মাস। আগামী বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন গ্রামীণফোন আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও সংগ্রহশালাটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হাতে তুলে দেবে। ভিডিওটি সবার জন্য অনলাইনে উন্মুক্ত থাকবে।
গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাওয়ায় আমরা অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি, আর তাই এখনই সময় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধের একেবারে সত্য গল্পগুলো সংরক্ষণ করার। উদ্যোগটির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের গল্পগুলো চিরকাল থেকে যাবে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে প্রেরণার সর্বোৎকৃষ্ট উৎস হয়ে থাকবে যারা পরবর্তীতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। আমরা জাতিগতভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিদের কাছে চির কৃতজ্ঞ, আর তাদের গল্পগুলো অজানা থেকে গেলে যে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, এমনকি বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।